ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ ভাদ্র ১৪৩১, ১১ শাওয়াল ১৪৪৫

হুদা কমিশন ঢাকাতেও নিজের তেলেসমাতি অক্ষুন্ন রাখবেন : রিজভী


প্রকাশ: ১৫ জানুয়ারী, ২০২০ ১৩:০০ অপরাহ্ন


হুদা কমিশন ঢাকাতেও নিজের তেলেসমাতি অক্ষুন্ন রাখবেন : রিজভী

   

স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রহুল কবির রিজভী বলেন, আমরা আশংকা করছি চট্টগ্রামের মতো ঢাকার দুই সিটির ভোটেও ভোটের আগে বিএনপি নেতাকর্মী ও সমর্থকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি-ধমকি, হামলা আর ভোটের দিন ভোটকেন্দ্রে আসতে নিষেধ করা হচ্ছে। ধানের শীষের প্রার্থীর সমর্থক ও ভোটারদের প্রতিনিয়ত নিগৃহীত করা হচ্ছে। চট্টগ্রাম-৮ আসনে উপ-নির্বাচনের মতো প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা ঢাকাতেও নিজের তেলেসমাতি অক্ষুন্ন রাখবেন কি না সেটি নিয়েও জনমনে নানা প্রশ্ন দীর্ঘ হচ্ছে। 

বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয়  কার্যলয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

বিগত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাতের ভোট ডাকাতি উপহার দেয়ার জন্য মুচলেকা দিয়ে শেখ হাসিনার কাছ থেকে দামি বিএমডব্লিউ পেয়েছিলেন সিইসি হুদা।     

রিজভী বলেন,  চট্টগ্রাম-৮ আসনে উপ-নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে ভোট ডাকাতি উৎসব। চট্টগ্রামে ডিজিটাল ভোট ডাকাতির প্রস্তুতি ম্যাচ সম্পন্ন করেছে শেখ হাসিনার সরকার। আওয়ামী সন্ত্রাসী এবং সরকারের পেটোয়া বাহিনী সবগুলো ভোটকেন্দ্র থেকে বিএনপির এজেন্টদের বের করে দিয়ে নি:শব্দে, নিভৃতে এবং নীরবে ইভিএমে ভোট ডাকাতি করেছে। এবার ৩০ জানুয়ারি চূড়ান্ত ভোট ডাকাতির প্রস্তুতি চলছে ঢাকার দুই সিটিতে। 

তিনি বলেন, চট্টগ্রাম উপ-নির্বাচনে ইভিএমে ভোট গ্রহণে অনিয়ম, এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়া, কেন্দ্র দখল, ধানের শীষের সমর্থকদের ওপর হামলা হলেও আজ্ঞাবহ নির্লজ্জ নির্বাচন কমিশন ভোট স্থগিত করেনি। মাত্র ৫ শতাংশ ভোট পড়লেও দেখানো হয়েছে ২২ শতাংশ ভোট হয়েছে। ভোট শুরুর পর থেকে ১৭০টির সব কয়টি কেন্দ্রের দখল ছিল সন্ত্রাসী বাহিনীর। বরং সুষ্ঠু ভোটের পক্ষে সাফাই গেয়েছে ভোট ডাকাতির সহযোগী নির্বাচন কমিশন। সরকারের চরম সুবিধাভোগী দালাল সিইসি কে এম নুরুল হুদা সুষ্ঠু নির্বাচনের সজ্ঞায় যেন ভুলে গেছেন।

রিজভী বলেন,  চট্টগ্রাম উপ-নির্বাচন ও হাইমচরে ভোট শুরুর কিছুক্ষণ পরেই পুলিশের উপস্থিতিতে নৌকার লোকজন ইভিএম এর গোপন বুথে অবস্থান নেয়। ভোটাররা ফিঙ্গার প্রিন্ট দেয়ার পর ব্যালট ইউনিটে নৌকার লোকজন নিজেদের প্রতীকে ভোট দিয়ে দেয়। এভাবে নির্বাচনের নামে জনগণের ট্যাক্সের টাকা খরচ করে সরকার তামাশা করেছে। সবকটি কেন্দ্র থেকে এজেন্টদের বের করে দেয়া, ভোটারদের কেন্দ্রে যেতে বাধা দেয়া, গোপন বুথে ছাত্রলীগ-যুবলীগের কর্মীরা ভোট প্রদান করেছে। 

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম, যুবদল নেতা খোরশেদ ও রফিকের ওপর হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করেছিলো আওয়ামী সন্ত্রাসীরা। এছাড়া ভোটের আগের রাত থেকে বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে এবং প্রশাসনের পক্ষপাতিত্বে জনগণের ভোটাধিকার হরণের মঞ্চায়ন হয়েছে চট্টগ্রামে।


   আরও সংবাদ