প্রকাশ: ২৭ অক্টোবর, ২০২৫ ০৯:৫১ পূর্বাহ্ন
জবি প্রতিনিধি: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) অনুজীব বিজ্ঞানের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের নারী শিক্ষার্থীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে অভিযুক্ত যুবককে আটক করেছে পুলিশে দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
আজ সোমবার (১৯ অক্টোবর) বেলা ১০ টার দিকে থেকে আটক করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
ফিন্যান্স বিভাগের ২০২০-২১ সেশনের শিক্ষার্থী আল শাহরিয়ার শাওন বলেন, গতকাল রাতে সিফাতকে আমি মেসেজ দিয়েছি জুয়েলারি ব্যবসা করবো বলে। তার একটা ব্যবসায়িক পেইজ আছে। সকাল বেলা ব্যবসায়িক চুক্তির জন্য তাকে পুরান ঢাকার লোহারপুলে ডাকি। তারপর সেখান থেকে তাকে ধরে নিয়ে এসে গেন্ডারিয়া থানায় সোপার্দ করি। আমরা চাই এই ছেলের আইনানুযায়ী উপযুক্ত বিচার হোক।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনুজীব বিজ্ঞান বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ভুক্তভোগী নারী শিক্ষার্থী জানান, গতকাল সন্ধ্যাবেলায় ধুপখোলা মাঠের পাশে টিউশনি করাতে যাই। সেখানে ৭টা ৫২ মিনিটের দিকে সিফাত আমাকে দোতলায় আটকায় এবং নাম্বার চায়। তারপর নাম্বার দিতে অস্বীকৃতি জানালে চতুর্থ তলায় সে আমাকে হেনস্তা করে। এর উপযুক্ত বিচার চাই।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং পুলিশ প্রশাসন এর যেনো আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়। ভবিষ্যতে আমি যেনো এ ধরনের ঘটনার সম্মুখীন না হই সে নিরাপত্তার ব্যবস্থা যেনো করা হয়।
এই সম্পর্কে জানতে চাইলে গেন্ডারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ গোলাম মর্তুজা বলেন, শিক্ষার্থীরা সোপার্দ করার পর জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য তাকে কাস্টডিতে নেওয়া হয়েছে। মামলার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। বাদী এবং সাক্ষীদের কাছ থেকে লিখিত নিয়েই মামলা প্রক্রিয়া শেষ করবো। মামলা শেষে তাকে আমরা তাকে কোর্টে হস্তান্তর করবো।
উপস্থিত ছাত্র ঐক্য পরিষদের সভাপতি অর্ঘ্য শ্রেষ্ঠ দাস বলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় একটা পরিবার। এই পরিবারের সদস্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি শিক্ষার্থী। তাই এখানকার একজন শিক্ষার্থীকে লাঞ্ছিত করা মানে জগন্নাথের সম্মানে হাত দেওয়া। আর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানে হাত দিলে কী হয় এটা দেশবাসী জানে। কাজেই প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতে চাই, অতিসত্বর আমার বোনের ওপর হওয়া শ্লীলতাহানির বিচার করেন। অন্যথায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় মাঠে নামলে কোন কূলকিনারা পাবেন না।
উপস্থিত আপ বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক তাওহিদুল ইসলাম বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে জবি শিক্ষার্থীরা বিভিন্নভাবে হত্যা ও হ্যারেজমেন্টের স্বীকার হচ্ছে।যাতে একজন জবি শিক্ষার্থী হিসেবে আমি খুবই উদ্বিগ্ন।গতকাল একজন নারী শিক্ষার্থীকে হ্যারেজমেন্ট করে এক বখাটে। আজ সেই বখাটেকে আইনের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। আমরা চাই অভিযুক্ত ব্যক্তিকে কঠোর থেকে কঠোরভাবে শাস্তি দেওয়া হোক, যাতে ভবিষ্যতে কেউ জবি শিক্ষার্থীদের সাথে এমন করার দু:সাহস না করে। সেই সাথে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বলব আপনারা জবি শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করুন।
উল্লেখ্য, রোববার সন্ধ্যার ৮টার দিকে টিউশন করাতে গিয়ে গেন্ডারিয়া থানাধীন ডিস্টিলারি রোড ফজলুর রহমান নার্সিং এন্ড মিডওয়াইফারি ইনষ্টিটিউট এলাকায় জবির এক নারী শিক্ষার্থী শ্লীলতাহানির শিকার হন। এঘটনায় রাত পৌনে ১১টার দিকে গেন্ডারিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়।