ঢাকা, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ ভাদ্র ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

একই দিনে কাওছার ও সাঈদের ক্যাসিনোতে র‌্যাবের অভিযান, জাল টাকা উদ্ধার


প্রকাশ: ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ১৪:০০ অপরাহ্ন


একই দিনে কাওছার ও সাঈদের ক্যাসিনোতে র‌্যাবের অভিযান, জাল টাকা উদ্ধার

   

স্টাফ রিপোর্টার : মতিঝিলের ফকিরাপুলের ইয়ং মেনস ক্লাবে অভিযান শেষে পাশের ওয়ান্ডারার্স ক্লাবেও অভিযান চালিয়েছে র‌্যাব। এসময় র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে ক্যাসিনোটি পরিচালনা সংশ্লিষ্ট সবাই গোপন দরজা দিয়ে পালিয়ে যাওয়ায় তাদের কাউকে আটক করতে পারে নি র‌্যাব।

বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে ওয়ান্ডারার্স ক্লাবে অভিযানে যান র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এই ক্যাসিনোটির মালিক দু’জন। তাদের মধ্যে একজন স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি মোল্লা আবু কাওছার। আরেকজন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলহাজ মমিনুল হক সাঈদ।

র‌্যাব-৩'এর সহযোগিতায় সদর দফতরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম অভিযান পরিচালনা করেন।

তিনি বলেন, অভিযানে ক্যাসিনো পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত কাউকে আমরা আটক করতে পারিনি। তবে ক্যাসিনোর তিনটি জুয়ার টেবিল থেকে বিপুল পরিমাণ মদ, বিয়ার ও সিগারেটসহ বিভিন্ন ধরনের নেশাজাতীয় দ্রব্য জব্দ করা হয়েছে।

একইসঙ্গে জুয়ার টেবিল থেকে ১০ লাখ ২৭ হাজার ২০০ টাকা জব্দ করা হয়েছে। যারমধ্যে ২০ হাজার ৫০০ টাকার জাল নোটও। কাউকে আটক করা যায়নি বলে নিয়মিত মাদক আইনে মামলা হবে বলে জানান তিনি।

সারওয়ার আলম বলেন, অনেকেই জানতে চেয়েছেন, আজকেই কেন আমরা অভিযানে নেমেছি। খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়ার ক্যাসিনোতেও আজকেই অভিযান চালানো হয়েছে। আমরা আসলে অনেক আগে থেকেই অবৈধ ক্যাসিনো নিয়ে অভিযোগ পেয়েছি। তবে আমরা গোয়েন্দা তথ্যের জন্য অপেক্ষা করছিলাম। তথ্য পেয়ে কাজ শুরু করেছি। আমাদের লজিস্টিক কিছু সীমাবদ্ধতা ছিল। সেগুলো কাটিয়ে উঠে আজ অভিযান শুরু হয়েছে। আজ রাতভর আরও কিছু ক্যাসিনোতে অভিযান চালানো হবে।

এর আগে, ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের পাশেই ইয়ং মেনস ক্লাবে বিকেলে অভিযান শুরু করেন র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের নেতা খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়ার ওই ক্যাসিনোতে অভিযান চালিয়ে ১৪২ জনকে আটক করা হয়। এছাড়া প্রায় ২৪ লাখ টাকা এবং বিপুল পরিমাণ মদসহ নেশাজাতীয় দ্রব্য জব্দ করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।


   আরও সংবাদ