ঢাকা, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ ভাদ্র ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

গণপূর্তের দুই প্রকৌশলীর ব্যাংক হিসাব তলব


প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ১৪:০০ অপরাহ্ন


গণপূর্তের দুই প্রকৌশলীর ব্যাংক হিসাব তলব

   

আলোচিত ঠিকাদার এস এম গোলাম কিবরিয়া ওরফে জি কে শামীমকে অবৈধ সুবিধা দেওয়ার অভিযোগে গণপূর্তের সাবেক দুই প্রকৌশলীর ব্যাংক হিসাব তলব করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (সিআইসি)।

গণপূর্তের কর্মকর্তারা হলেন, সাবেক প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম ও অতিরিক্ত প্রকৌশলী আব্দুল হাই। এনবিআর সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

আজ মঙ্গলবার এই দুই সাবেক প্রকৌশলীর ব্যাংক লেনদেনের তথ্য চেয়ে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটকে (বিএফআইইউ) চিঠি দিয়েছে এনবিআর। চিঠি পাওয়ার পর দেশের সব বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীর কাছে এ-সংক্রান্ত একটি চিঠি পাঠিয়েছে বিএফআইইউ।

অভিযোগ আছে, সরকারের গণপূর্ত বিভাগের টেন্ডারে একক নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন শামীম। গণপূর্তের সাবেক দুই প্রকৌশলীকে মোটা অঙ্কের টাকা ঘুষ দিয়ে তিনি টেন্ডার বাগাতেন। ঘুষের পরিমাণ দেড় হাজার কোটি টাকা বলে অভিযোগ উঠেছে। টেন্ডার পেতে শামীম বিভিন্ন সময়ে রফিকুলকে ঘুষ দিয়েছেন ১ হাজার ১০০ কোটি ও আব্দুল হাইকে দিয়েছেন ৪০০ কোটি টাকা। শামীম র‌্যাবের হাতে গ্রেফতারের পর থেকে এই দুই প্রকৌশলী গা-ঢাকা দিয়েছেন।

জানা গেছে, গত বছরের ডিসেম্বরে গণপূর্তের প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল অবসরে যান। তবে রফিকুল অবসরে যাওয়ার পরও গণপূর্তে শামীমের প্রভাব কমেনি। গণপূর্তে এমন কথা প্রচলিত আছে, ঠিকাদারি কাজ বাগিয়ে নিতে নানা দফতরে ‘তদবির’ করে রফিকুলকে প্রধান প্রকৌশলী বানিয়েছিলেন শামীম।

এর আগে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট, ভোলা-৩ আসনের সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন, যুবলীগ নেতা খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া ও শামীমের ব্যাংক হিসাব খতিয়ে দেখতে ব্যাংকগুলোকে চিঠি দিয়েছে বিএফআইইউ।

উল্লেখ্য, গত বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ফকিরাপুল ইয়ংমেনস ক্লাবের ক্যাসিনোতে অভিযান চালায় র‌্যাব। ওই রাতে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর গত শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর নিকেতনে নিজের অফিস থেকে গ্রেফতার হন শামীম। গ্রেফতারের সময় তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ নগদ অর্থ, মাদক ও আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ করা হয়।


   আরও সংবাদ