ঢাকা, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ ভাদ্র ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

সরকারের বিদায় দেশের জন্য মঙ্গল : মওদুদ


প্রকাশ: ১৪ অক্টোবর, ২০১৯ ১৪:০০ অপরাহ্ন


সরকারের বিদায় দেশের জন্য মঙ্গল : মওদুদ

   

স্টাফ রিপোর্টার : অবিলম্বে এই সরকারের পদত্যাগ করা উচিত এবং সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের মাধ্যমে প্রতিনিধিত্বমূলক একটি সরকার গঠনের সুযোগ সৃষ্টি করা উচিত বলে মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ।
 
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবে বুয়েট ছাত্র হত্যার প্রতিবাদে ২০ দলীয় জোট আয়োজিত স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মওদুদ বলেন, দেশে আইনের শাসন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং দেশের মানুষ যাতে সভ্যতার সহিত বসবাস করতে পারে সেই সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা প্রয়োজন।

তিনি বলেন, বেগম জিয়ার মুক্তি আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সম্ভব হবে বলে আমি মনে করি না। সুতরাং এর অবসান একমাত্র হতে পারে রাজপথ, রাজপথের আন্দোলনের মাধ্যমে বেগম জিয়ার মুক্তি হবে। প্যারোলের মাধ্যমে নয় রাজপথের মাধ্যমে বেগম জিয়ার মুক্তি হবে এবং এই মুক্তি আমাদের আনতে হবে এটা সময়ের ব্যাপার। 

আপনারা যদি মনে করেন আর কতদিন, এতদিন তো আমরা সহ্য করেছি কিন্তু আমাদের আর কিছুদিন সহ্য করতে হবে। সময় আসবে যখন এদেশে একটি জালেম সরকারকে উৎখাত করার জন্য একটি জনবিস্ফোরণ ঘটবে।

মওদুদ বলেন, ২০ দলীয় ঐক্যজোট আছে এবং থাকবে। পাশাপাশি সর্ববৃহৎ প্ল্যাটফর্ম তৈরির জন্য দেশের সকল গণতন্ত্র মুক্তিকামী মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে আমাদের আন্দোলনের মাধ্যমে এই পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হবে।

বিএনপির এই নীতি নির্ধারক বলেন, এই সরকার জবাবদিহিতাহীন সরকার আর জবাবদিহিতাহীন সরকার হলে যা হয় তাই হয়েছে এখন। জবাবদিহিতা না থাকার কারণেই আজকে এই নৈরাজ্য-টেন্ডারবাজির দুর্নীতি চলছে।

তিনি বলেন, গত ১০ বছর ধরে ছাত্রলীগ, যুবলীগের নৈরাজ্যে দেশের মানুষ জর্জরিত। এই যে আমরা শুনি প্রতিবছর নাকি হাজার হাজার কোটি টাকা বাংলাদেশ থেকে পাচার হচ্ছে। ব্যাংকলুট, শেয়ারবাজার লুট দেশের অর্থনীতিকে পঙ্গু করে এক শ্রেণির মানুষ এই সরকারের মদদে এবং যারা এই সরকার পরিচালনা করছে তাদের প্রভাবে ও তাদের প্রত্যক্ষ অংশীদারিত্বে এই ধরনের দুর্নীতি আজ বাংলাদেশে চলছে।

মওদুদ আরও বলেন, আজ আমাদের সময় হয়েছে এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবার। আবরার ফাহাদ শহীদ হয়েছেন ঠিকই কিন্তু তিনি প্রমাণ করে দিয়ে গেছেন বাংলাদেশে যদি ভিন্নমত অবলম্বন করা হয় তবে তাকে হত্যা পর্যন্ত করতে তারা কার্পণ্য করে না।

তিনি বলেন, পত্রপত্রিকার মাধ্যমে দেশের মানুষ জানতে পেরেছে শুধু বুয়েট নয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের হল এবং ডরমেটরিতে ক্ষমতাসীন দলের আশীর্বাদপুষ্ট লোকজন টর্চার করছে। তারা শুধু ভিন্নমতাবলম্বীদের সেখানে নির্যাতন করে না, নিরীহ ছাত্রদেরও নির্যাতন করে এবং সেখান থেকে চাঁদা আদায় করে।

বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, জাতীয় পার্টির মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান রেজা, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির অধ্যাপক গোলাম পরওয়ার, কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা আবদুল হালিম প্রমুখ।সরকারের বিদায় দেশের জন্য মঙ্গল : মওদুদ

স্টাফ রিপোর্টার : অবিলম্বে এই সরকারের পদত্যাগ করা উচিত এবং সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের মাধ্যমে প্রতিনিধিত্বমূলক একটি সরকার গঠনের সুযোগ সৃষ্টি করা উচিত বলে মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ।
 
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবে বুয়েট ছাত্র হত্যার প্রতিবাদে ২০ দলীয় জোট আয়োজিত স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মওদুদ বলেন, দেশে আইনের শাসন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং দেশের মানুষ যাতে সভ্যতার সহিত বসবাস করতে পারে সেই সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা প্রয়োজন।

তিনি বলেন, বেগম জিয়ার মুক্তি আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সম্ভব হবে বলে আমি মনে করি না। সুতরাং এর অবসান একমাত্র হতে পারে রাজপথ, রাজপথের আন্দোলনের মাধ্যমে বেগম জিয়ার মুক্তি হবে। প্যারোলের মাধ্যমে নয় রাজপথের মাধ্যমে বেগম জিয়ার মুক্তি হবে এবং এই মুক্তি আমাদের আনতে হবে এটা সময়ের ব্যাপার। 

আপনারা যদি মনে করেন আর কতদিন, এতদিন তো আমরা সহ্য করেছি কিন্তু আমাদের আর কিছুদিন সহ্য করতে হবে। সময় আসবে যখন এদেশে একটি জালেম সরকারকে উৎখাত করার জন্য একটি জনবিস্ফোরণ ঘটবে।

মওদুদ বলেন, ২০ দলীয় ঐক্যজোট আছে এবং থাকবে। পাশাপাশি সর্ববৃহৎ প্ল্যাটফর্ম তৈরির জন্য দেশের সকল গণতন্ত্র মুক্তিকামী মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে আমাদের আন্দোলনের মাধ্যমে এই পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হবে।

বিএনপির এই নীতি নির্ধারক বলেন, এই সরকার জবাবদিহিতাহীন সরকার আর জবাবদিহিতাহীন সরকার হলে যা হয় তাই হয়েছে এখন। জবাবদিহিতা না থাকার কারণেই আজকে এই নৈরাজ্য-টেন্ডারবাজির দুর্নীতি চলছে।

তিনি বলেন, গত ১০ বছর ধরে ছাত্রলীগ, যুবলীগের নৈরাজ্যে দেশের মানুষ জর্জরিত। এই যে আমরা শুনি প্রতিবছর নাকি হাজার হাজার কোটি টাকা বাংলাদেশ থেকে পাচার হচ্ছে। ব্যাংকলুট, শেয়ারবাজার লুট দেশের অর্থনীতিকে পঙ্গু করে এক শ্রেণির মানুষ এই সরকারের মদদে এবং যারা এই সরকার পরিচালনা করছে তাদের প্রভাবে ও তাদের প্রত্যক্ষ অংশীদারিত্বে এই ধরনের দুর্নীতি আজ বাংলাদেশে চলছে।

মওদুদ আরও বলেন, আজ আমাদের সময় হয়েছে এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবার। আবরার ফাহাদ শহীদ হয়েছেন ঠিকই কিন্তু তিনি প্রমাণ করে দিয়ে গেছেন বাংলাদেশে যদি ভিন্নমত অবলম্বন করা হয় তবে তাকে হত্যা পর্যন্ত করতে তারা কার্পণ্য করে না।

তিনি বলেন, পত্রপত্রিকার মাধ্যমে দেশের মানুষ জানতে পেরেছে শুধু বুয়েট নয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের হল এবং ডরমেটরিতে ক্ষমতাসীন দলের আশীর্বাদপুষ্ট লোকজন টর্চার করছে। তারা শুধু ভিন্নমতাবলম্বীদের সেখানে নির্যাতন করে না, নিরীহ ছাত্রদেরও নির্যাতন করে এবং সেখান থেকে চাঁদা আদায় করে।

বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, জাতীয় পার্টির মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান রেজা, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির অধ্যাপক গোলাম পরওয়ার, কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা আবদুল হালিম প্রমুখ।


   আরও সংবাদ