ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ ভাদ্র ১৪৩১, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫

চৌগাছায় বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী কিশোরীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করল দাদা


প্রকাশ: ২৯ অক্টোবর, ২০১৯ ১৪:০০ অপরাহ্ন


চৌগাছায় বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী কিশোরীকে তুলে নিয়ে  ধর্ষণ করল দাদা

   

চৌগাছা (যশোর) প্রতিনিধি : যশোরের চৌগাছায় বুদ্ধি প্রতিবন্ধী কিশোরী (১৬) কে তুলে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে কুরবান আলী (৫০) নামে এক ব্যক্তির নামে মামলা হয়েছে। 

কুরবান আলী উপজেলার বলিদাপাড়া গ্রামের মৃত মকছেদ আলীর ছেলে। ধর্ষিত কিশোরীকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করেছে পুলিশ। 

গত বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) ধর্ষণের ঘটনা ঘটলেও লোকলজ্জা ও হুমকির ভয়ে মেয়েটি কাউকে কিছু বলেনি। গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে বুধবার তাকে চৌগাছা উপজেলা হাসপাতালে ভর্তির পর বিষয়টি জানা জানি হয়।

হাসপাতালে ধর্ষিতা ও তার মা জানান, মেয়েটি প্রায় পাঁচ বছর প্রতিবেশী সম্বন্ধে দাদা কুরবান আলীর বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করত। কয়েক মাস ধরেই গৃহকর্তা কুরবানের কুনজর পড়ে কিশোরী মেয়েটির উপর। প্রায়ই বিভিন্ন প্রলোভনে তাকে কুপ্রস্তাব দিতে থাকে কুরবান। ক্রমাগত কুপ্রস্তাব দিতে থাকায় মেয়েটির ওই বাড়িতে কাজ করতে যাওয়া বন্ধ হয়ে যায়। এরপরও থামে না ওই ব্যক্তির কুনজর। মেয়েটি গোসল করতে যখনই প্রতিবেশির পুকুরে যায় তখনই কুরবান আলীও ওই পুকুরে গোসলে নামে। 

গত বুধবার ২৩ অক্টোবর মেয়েটি ওই পুকুরে গোসল করতে নামলে কুরবান মেয়েটিকে জড়িয়ে ধরে শরীরের স্পর্শকাতর অঙ্গে হাত দেয়। মেয়েটি কোনরকমে ছাড়া পেয়ে গ্রামেই তার ফুফুর বাড়িতে আশ্রয় নেয়। সেদিন ওই ব্যক্তি তাকে হুমকি দেয়। যে তোকে আমি ধর্ষণ করবই।

পরদিন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মেয়েটি তার ছোট ভাইয়ের জন্য মিস্টি কিনতে গ্রামের দোকানে যাওয়ার পথে কুরবান আলী পেছন থেকে গামছা দিয়ে মেয়েটির মুখ চেপে ধরে কাধে করে পাশেই কুরবানের ভাইয়ের একটি কলাক্ষেতে নিয়ে উপর্যপুরি ধর্ষণ করে। মেয়েটি বলে আমি তাকে অনেক হাতে পায়ে ধরেছি। বলেছি দাদা তুমি আমার ভাই। আমাকে নষ্ট করো না। কিন্তু সে কিছুই শোনেনি।

ধর্ষনের পর মেয়েটি একথা সবাইকে বলে দেয়ার হুমকি দিলে মেয়েটির মাথার পেছন দিকে লোহার শাবল দিয়ে আঘাত করে কুরবান। একই সাথে হুমকি দেয় কাউকে বললে তোকেসহ তোর বৃদ্ধ বাবা মাকেও মেরে ফেলব।

মেয়েটি জানায়, এরপর সে ভয়ে কাউকে কিছু জানায় নি। পরে অসুস্থ হয়ে পড়লে মা জানতে চাইলে বিষয়টি বললেও লোক লজ্জার ভয়ে পরিবার তাকে হাসপাতালে বা থানায় নেয় নি। কিন্তু ক্রমেই অবস্থা অবনতির দিকে গেলে বুধবার তাকে চৌগাছা হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আহমেদ সাঈদ বিন সাদ তাকে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে রেফার করেন। 

মেয়েটির মা আরো বলেন, আমার মেয়ে আজ তিনদিন ধরে কিছুই খাচ্ছে না। ক্রমেই দুর্বল হয়ে পড়ায় হাসপাতালে আনার পরও সে মাথা ঘুরে পড়ে যায়।

চৌগাছা থানার এসআই নজরুল ইসলাম বলেন, ২২ ধারায় জবানবন্দি সম্পন্ন হয়েছে।  প্রাথমিকভাবে মেয়েটি জানিয়েছে তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে। 

চৌগাছা থানার ওসি রিফাত খান রাজীব বলেন, এ বিষয়ে মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে। ধর্ষককে আটকে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।


   আরও সংবাদ