ঢাকা, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ ভাদ্র ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

আগামী প্রজন্মের জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে হবে : খাদ্যমন্ত্রী


প্রকাশ: ২১ ডিসেম্বর, ২০১৯ ১৩:০০ অপরাহ্ন


আগামী প্রজন্মের জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে হবে : খাদ্যমন্ত্রী

   

স্টাফ রিপোর্টার : খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, আমাদের গড় আয়ু বৃদ্ধি পেয়েছে। আগে আমরা দুবেলা ভাত পেতাম না। তখন ভাতের মাড় খেয়েও আমরা জীবন ধারণ করেছি। অথচ আজ আমরা মোটা চাল খেতে চাই না। আমরা সরু চাল পছন্দ করি। মানুষের জীবন-মান উন্নত হয়েছে। আমরা যখন খাদ্য স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছি, এখন আমরা নিরাপদ খাদ্য চাই।

রোববার (২২ ডিসেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে রেস্তোরাঁ, বেকারী ও মিষ্টির কারখানার গ্রেডিং প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। 

নিরাপদ খাদ্য কতৃপক্ষের চেয়ারম্যান সৈয়দা সারওয়ার জাহান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার ২৩টি হোটেল,রেস্তোরাঁ ও মিষ্টির কারখানাকে সনদপত্র প্রদান করেন । যারমধ্যে ১৪টি প্রতিষ্ঠানকে এ গ্রেড, ৯টি প্রতিষ্ঠানকে বি গ্রেড ও ৭ টি খাদ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানকে সি গ্রেড পাওয়ায় সতর্ক করা হয়।

আমাদের এখন শুধু সৎ মানুষ হলেই হবে না। আমাদের সৎ, দেশপ্রেমিকও মানসেবায় উন্নত মানুষ হতে হবে উল্লেখ করে মন্ত্রী আরও বলেন, গতকাল আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্রে দুটি জিনিস পাস হয়েছে। তা হলো পুষ্টিকর খাবার নিশ্চিত ও মাদক নির্মূল করা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরাপদ খাদ্যের জন্য দেশে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছেন। ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য আমাদের নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে কাজ করতে হবে 

প্রিমিয়ার সুইটস এর ব্যাপারে তিনি বলেন, আমি নিজের সন্তানের জন্য প্রিমিয়ার সুইটিস এর মিষ্টি কিনি। এখানে দেখছি তারা ১০০ এর মধ্যে ২৪ পেয়েছে। যা আমাকে ভাবাচ্ছে ভবিষ্যতে এই মিষ্টি আর কিনবো কি না। এসময় হোটেল রেস্তোরার মালিকদেরকে বিদেশ ভ্রমনের জন্য নিরাপদ খাদ্য কতৃপক্ষকে আহবান জানান তিনি। 

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে খাদ্য সচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা বলেন, আমাদের চার ধরণের গ্রেড রয়েছে। সবুজ, নীল, হলুদ ও কমলা। আজ আমরা তিন ধরণের স্টিকার প্রদান করা হবে। এক্ষেত্রে সবুজ স্টিকার কেউ পাচ্ছেননা। তবে অবশ্যই আমরা আন্তর্জাতিক স্টান্ডার্ড অর্জনের পথেই কাজ করছি। বর্তমান সরকার নিরাপদ খাদ্যের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। যারা আজ স্টিকার পেয়েছেন তাদের সবাইকে ধন্যবাদ জানান।

রেস্তোরা মালিক সমিতির সভাপতি রুহুল আমিন বলেন, এর আগে ৫৭টি হোটেলকে স্টিকার প্রদান করা হয়। প্রতি মাসে এ ধরণের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হলে নিজেদের মধ্যে সমন্বয়ের ঘাটতি কমানো যাবে বলে তিনি জানান আছে বলেও তিনি জানান। আমাদের দীর্ঘদিনের অভ্যাস পরিবর্তনে আরও সময় লাগবে বলেও তিনি জানান।

অনুষ্ঠানে সচিব মাহবুব কবির জানান, নিরাপদ খাদ্য কতৃপক্ষ হোটেল মালিক ও কর্মচারীদের প্রশিক্ষণের জন্য ব্যবস্থা হাতে নেয়া হয়েছে। শুধুমাত্র পরিচ্ছন্নতার উপর নির্ভর করে এই স্টিকার বা সনদ প্রদান করা হয় বলেও জানান তিনি।


   আরও সংবাদ