ঢাকা, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ ভাদ্র ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

‘নুরদের যে চিকিৎসারই প্রয়োজন তাৎক্ষণিকভাবে তা দেয়া হচ্ছে’


প্রকাশ: ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৯ ১৩:০০ অপরাহ্ন


‘নুরদের যে চিকিৎসারই প্রয়োজন তাৎক্ষণিকভাবে তা দেয়া হচ্ছে’

   

নিজস্ব প্রতিবেদক: ‘ভিপি নুরসহ আহত শিক্ষার্থীদের শারীরিক অবস্থা নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ লুকোচুরি করছে’,- শিক্ষার্থীদের এমন অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছেন ঢামেক হাসপাতালেন পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. এ কে এম নাসির উদ্দিন।

তিনি বলেছেন, মিস্টার নুর ভালো আছেন। তাদের (আহত শিক্ষার্থীরা) চিকিৎসা নিয়ে লুকোচুরি করার কিছু নেই। আমরা তাদের জন্য মোট ১৩ জনের একটি বড় মেডিকেল বোর্ড (প্রথমে ৯ জন পরে পর্যায়ক্রমে বোর্ডে ৪ জন সংযুক্ত) গঠন করি। এত বড় বোর্ড আগে কখনও হয়নি। তাদের যার যা চিকিৎসা প্রয়োজন তাৎক্ষণিকভাবে সেই চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) ঢাকা মেডিকেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

ভিপি নুরের শারীরিক অবস্থা নিয়ে নাসির উদ্দিন বলেন, মিস্টার নুর ভালো আছেন। আজ হঠাৎ তিনি বললেন যে তার কনুইয়ে ব্যথা। আমরা তার এক্সরে করেছি। রিপোর্ট ভালো আসলে আমরা তাকে আজই হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেব। এছাড়া আরও ২-৩ জনকে আজ ছেড়ে দেয়া হবে।

আহত তুহিন ফারাবীর অবস্থা সম্পর্কে তিনি বলেন, তুহিন ফারাবীর অবস্থা আগের চেয়ে ভালো। তার এইচডিইউতে (হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিট) থাকার কোনো প্রয়োজন নেই। তারপরেও অতিরিক্ত দর্শনার্থীর কারণে তার ইচ্ছা অনুযায়ী তাকে এইচডিইউতে রাখা হয়েছে। তাদের চিকিৎসা ভালো হচ্ছে, এ নিয়ে আমরা শতভাগ কনফিডেন্ট।

উল্লেখ্য, রোববার ভিপি নুরুল হককে তার ডাকসুর কক্ষে ঢুকে বাতি নিভিয়ে পেটান মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নেতাকর্মীরা। ভিপি নুরসহ আহতদের অভিযোগ– ছাত্রলীগ এ হামলায় সরাসরি অংশ নেয়।

এ সময় নুরের সঙ্গে থাকা ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের অন্তত ৩০ জনকে বেধড়ক মারধর করা হয়। দুজনকে ছাদ থেকে ফেলে দেয়া হয়। তাদের মধ্যে রোববার রাত পর্যন্ত ১৪ জন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুই দফায় নুরুল হক ও তার সহযোগীদের রড, লাঠি ও বাঁশ দিয়ে পেটানো হয়। প্রথম দফায় মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের একাংশের সভাপতি আমিনুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক আল মামুনের নেতৃত্বে সংগঠনের নেতাকর্মীরা ডাকসু ভবনে ঢুকে তাদের পেটান।

এর পর ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সনজিৎ চন্দ্র দাস ও সাধারণ সম্পাদক (ডাকসুর এজিএস) সাদ্দাম হুসাইন ঘটনাস্থলে আসেন। তাদের উপস্থিতিতে দ্বিতীয় দফায় হামলা ও মারধর করা হয়। এ সময় ডাকসু ভবনেও ভাঙচুর চালান ছাত্রলীগের কিছু নেতাকর্মী।

এ হামলার ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিৎ চন্দ্র দাস ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসাইনসহ ৩৭ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন ভিপি নুর। অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে আরও ৪০-৫০ জনকে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নুরের পক্ষে রাজধানীর শাহবাগ থানায় মামলাটি করেন ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেন।

এ ছাড়া নুর ও তার সঙ্গীদের ওপর হামলার ঘটনায় পুলিশের করা হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেফতার মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের তিন নেতা আল মামুন, ইয়াসির আরাফাত তূর্য ও মেহেদী হাসান শান্তকে তিন দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।


   আরও সংবাদ