ঢাকা, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ ভাদ্র ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

মাদ্রাসায় টেন্ডার বহির্ভূত অতিরিক্ত গাছ কাটার অভিযোগ


প্রকাশ: ৩ জানুয়ারী, ২০২০ ১৩:০০ অপরাহ্ন


মাদ্রাসায় টেন্ডার বহির্ভূত অতিরিক্ত গাছ কাটার অভিযোগ

   

মণিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি : মণিরামপুরে মাদ্রাসায় টেন্ডার বহির্ভূত অতিরিক্ত গাছ কেটে বিক্রির করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার গোবিন্দপুর তেঘরী আদর্শ আলিম মাদরাসায় এ ঘটনা ঘটেছে। 

মাদরাসার নতুন ভবন নির্মাণের জায়গায় বিভিন্ন প্রজাতির গাছ থাকায় প্রকাশ্যে নিলামের মাধ্যমে ৫৫টি গাছ কর্তনের নির্দেশ দেয়া হলেও প্রভাব খাটিয়ে প্রায় লক্ষাধিক টাকা মূল্যের অতিরিক্ত ৯ টি গাছ কর্তন করা হয়েছে। 

এ ঘটনায় মাদরাসা অধ্যক্ষসহ এলাকাবাসি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। এ ব্যাপারে উপজেলা বন কর্মকর্তাকে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন ইউএনও আহসান উল্লাহ শরিফী। 

জানা যায়, উপজেলার গোবিন্দপুর তেঘরী আদর্শ আলিম মাদরাসায় নতুন ভবন নির্মাণের জায়গায় বিভিন্ন প্রজাতির ৭০/৮০টি গাছ থাকায় এর মধ্যে ৫৫টি গাছ চিহ্নিত পূর্বক তা কর্তনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সে মোতাবেক সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে গত ২০ নভেম্বর উপজেলা নিবার্হী কর্মকতার্র কার্যালয়ে প্রকাশ্যে নিলামে সবোর্চ্চ দরদাতা হিসেবে ১ লাখ ৬৫ হাজার টাকার বিপরীতে উপজেলার খানপুর গ্রামের গোলাম মোস্তফা খান মিঠুকে কার্যাদেশ দেয়া হয়। 

অভিযোগ উঠেছে গোলাম মোস্তফা খান মিঠু, মাদ্রাসা পরিচালনা পর্ষদের অ্যাডহক কমিটির সভাপতি সাবেক চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম ও স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পিয়ন-কাম নৈশ প্রহরী রিয়াজুল ইসলাম পান্নু যোগসাজস করে অতিরিক্ত গাছ কাটার অপকৌশল অবলম্বন করেন। পান্নু কৌশলে ওই রাতেই অতিরিক্ত বড় আকৃতির ৮/১০টি মেহগনি গাছে নম্বর সেটে দেন।

শিক্ষকরা প্রতিষ্ঠানে এসে বিষয়টি জানতে পেরে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ গোলাম মোস্তফাকে অবহিত করলে অধ্যক্ষ অতিরিক্ত গাছে সাঁটা ভূয়া নম্বর কাঁদা দিয়ে মুছে দেন। তারপরও ৬ ডিসেম্বর শুক্রবার মাদ্রাসা বন্ধের দিন লক্ষাধিক টাকার অতিরিক্ত বড় আকৃতির ৫টি গাছ চুরি করে কাটাসহ আরো ৪টি গাছের গোড়া খোড়া হলে অধ্যক্ষের বাঁধায় শ্রমিকরা চলে যায়। এ ঘটনায় মাদ্রাসা অধ্যক্ষসহ এলাকাবাসি জড়িতদের বিরুদ্ধে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।

এ ব্যাপারে অবশ্য সিরাজুল ইসলাম ও রিয়াজুল ইসলাম পান্নু এ বিষয়ে জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করেন।  

গোলাম মোস্তফা মিঠু দাবি করেন, টেন্ডার বহিভূর্ত ২টি গাছ ভেঙ্গে পড়ায় অধ্যক্ষের সম্মতিতে কাটা হয়। 

মাদ্রসা অধ্যক্ষ গোলাম মোস্তফা বলেন, অতিরিক্ত গাছ কাটতে সম্মতির প্রশ্নই উঠে না। বরং অতিরিক্ত গাছ কাটায় তিনি নিজেই অভিযোগ করেছেন।

উপজেলা বন কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা জানান, মাদ্রাসা বন্ধ থাকায় তদন্ত হয়নি। আগামী সপ্তাহে তদন্ত করা হবে। 

ইউএনও আহসান উল্লাহ শরিফী বলেন, সরকারি গাছ কাটা চরম অন্যায়, এ ব্যাপারে দ্রুত আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে।


   আরও সংবাদ