ঢাকা, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ ভাদ্র ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

ঝালকাঠিতে কোটি টাকা বাজেটের রাস্তা কর্দমাক্ত, ভোগান্তি চরমে


প্রকাশ: ৬ জানুয়ারী, ২০২০ ১৩:০০ অপরাহ্ন


ঝালকাঠিতে কোটি টাকা বাজেটের রাস্তা কর্দমাক্ত, ভোগান্তি চরমে

   

নিউজ ডেস্ক: নয় কিলোমিটার রাস্তায় চলাচলে দীর্ঘ দিন ধরে চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছে স্থানীয়রা। এর মধ্যে বাড়তি পীড়া যোগ হয়েছে গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে।

ঝালকাঠির রাজাপুর সদরের হাসপাতাল মোড় থেকে উপজেলার সীমান্তবর্তী সাতুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদ স্কুল সংলগ্ন স্টিল ব্রিজ পর্যন্ত রাস্তার সংস্কার ও সড়ক বর্ধিতকরণ কাজ চলছে।

বেলে মাটি ও লোকাল বালির মিশ্রণের কারণে পলিমাটির মতোই কাদা হয়ে গেছে সড়ক সংস্কারে ব্যবহার করা নিম্নমানের বালি। ফলে জনসাধারণের চলাচল করতে এবং এ সড়কে গাড়ি চালকদের সীমাহীন ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।

জানা গেছে, ঝালকাঠি সড়ক ও জনপদ বিভাগের আওতায় সতেরো কোটি টাকা ব্যয়ে গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে রাস্তাটি সংস্কারের নামে খুঁড়ে রাখা হয়েছে।

সম্প্রতি সড়ক উন্নয়নে বালু ফেলে রাস্তা সমান করা হয়। গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে বালু কাদামাটিতে পরিণত হয়েছে।

স্থানীয়রা বলছেন, নিম্নমানের পাথরের সঙ্গে পুরাতন পরিত্যক্ত বেলে মাটি দেওয়ার ফলে রাস্তা কর্দমাক্ত হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন মিলন বলেন, এই নয় কিলোমিটার রাস্তার পুরোটারই একই অবস্থা। সব জায়গায়ই নিম্নমানের লোকাল বালি ও নাম সর্বস্ব পাথর ব্যবহার করে রোলার দিয়ে রাস্তা সমান করেছে। এই কাদা মাটির ওপর কার্পেটিং হলে রাস্তার অবস্থা কি হবে আল্লাহই ভালো জানেন।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বক্তব্য পাওয়া না গেলেও সড়ক সংস্কার কাজের তদারকির সার্বক্ষণিক দায়িত্বে থাকা নাসির উদ্দিন মৃধা বলেন, গোপালগঞ্জের ঠিকাদারসহ আমরা কয়েকজনে মিলে কাজটি করছি। সিলেট ও ঢাকা থেকে বালু এনে কিছু পাথর মিশিয়ে গ্রেডিং করেছিলাম। হঠাৎ বৃষ্টি হওয়ায় একটু অসুবিধা হয়েছে।

এখন বালু অপসারণ করে নতুনভাবে মানসম্মত বালু ও পরিমাণমতো পাথর দিয়ে পুনরায় গ্রেডিংয়ের কাজ চলমান রয়েছে।

ঝালকাঠি সড়ক ও জনপদ বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী শেখ মো. নাবিল হোসেন বলেন, সড়ক সংস্কারে ঠিকাদারের কিছু ত্রুটি ছিল। যে কারণে রাস্তাটি কর্দমাক্ত হয়েছে। আমি গতকাল রাজাপুরের পুরো নয় কিলোমিটার সড়ক পরিদর্শন করেছি এবং ঠিকাদারকে খারাপ বালি তুলে নতুন করে ভালোমানের বালু ও পাথর এনে রাস্তায় দিতে বলেছি। আশা করছি এরপর আর কোনো অসুবিধা হবে না।


   আরও সংবাদ