ঢাকা, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ ভাদ্র ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জনগ‌ণের দায়িত্ব নিতে রাজি না : নজরুল


প্রকাশ: ৭ জানুয়ারী, ২০২০ ১৩:০০ অপরাহ্ন


জনগ‌ণের দায়িত্ব নিতে রাজি না : নজরুল

   

স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, আ:লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকলে ধর্ষণ নির্যাতনের তান্ডব চলবেই কারণ তারা জনগ‌ণের দায়িত্ব নিতে রাজি না। আজ দেশের মানুষ মারা যাচ্ছে। আমার মা বোনেরা ধর্ষিত, নির্যাতিত হচ্ছে কিন্তু এই সরকার দায়িত্ব নিতে রাজি না। এই দায়িত্বহীনতা কেন? কারণ একটাই এই সরকারের জনগণের কাছে কোনো দায়বদ্ধতা নাই। জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয় নাই।

বুধবার (৮ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্রীর ধর্ষণকারীর ফাঁসির দাবিতে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম দলের আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এ কথা বলেন।

নজরুল ইসলাম খান বলেন, এই সরকার যদি  আবারো ক্ষমতায় থাকে এবং ধর্ষণ নির্যাতন তান্ডব যদি চলতে থাকে তাহলে আগামীতে ধর্ষণের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলবে না। 

তিনি বলেন, দে‌শে ধর্ষণের মামলা হচ্ছে । বছরের পর বছর তদন্ত চলছে। কিন্তু কোন বিচার হচ্ছে না। বিচার হবে শুনতে শুনতে আমরা ক্লান্ত হয়ে পড়েছি তারপরও বিচার পাচ্ছিনা।

নজরুল ব‌লেন, সাংবাদিক সাগর-রুনি কে তার নিজের ঘরে হত্যা করা হয়েছে। এটার কোনো কূলকিনারা এখনো হয় নাই। অথচ বলা হয় আমরা কি মানুষের ঘরে ঘরে গিয়ে পাহারা দিব।আজ দেশের মানুষ মারা যাচ্ছে আমার মা বোনেরা ধর্ষিত নির্যাতিত হচ্ছে কিন্তু এই সরকার দায়িত্ব নিতে রাজি না। এই দায়িত্বহীনতা কেন? কারণ একটাই এই সরকারের জনগণের কাছে কোনো দায়বদ্ধতা নাই। কারণ তারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয় নাই।

তিনি বলেন, প্রতিবছর হত্যা-নির্যাতন ধর্ষণ বাড়ছে। শিশু থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত কেউই রেহাই পাচ্ছে না।নিরাপদ স্থানে যখন বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্রী ধর্ষিত হয় তখন অন্য মা-বাবাদের তো চিন্তা আসবেই।  আর এই চিন্তা থেকে মুক্ত থাকতে নির্যাতন ধর্ষণ থেকে বাঁচতে আমাদের একজন সরকার দরকার। আর না হলে কিসের জন্য আমাদের সরকার দরকার? আমি উপার্জন করি, আমি কর্ম করি, আমি খাই। আমারতো কোন সরকার লাগে না। লাগে এই কারণে যে, যাতে আমি নিরাপদে চলাচল করতে পারি। থাকতে পারি। 

আমার দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে পা‌রি। দেশের অর্থনীতি, রাজনীতি উন্নতি করতে পা‌রি।  এই কারণেই আমাদের সরকার দরকার।কিন্তু আমার জীবনের নিরাপত্তায় যদি না থাকে তাহলে এই সরকারকে কি দরকার?আমি কাউকে উৎখাত করার কথা বলছি না । আমি বলছি আমরা যারা মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম গণতন্ত্রের জন্য, বৈষম্য দূর করার জন্য।কিন্তু দুর্ভাগ্য আমাদের, আমরা আজও সেটা অর্জন করতে পারিনি। আর সেটা তখনই সম্ভব যখন আমরা জনগণের নির্বাচিত সরকার পাব।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার ছাত্রলীগ নেতা ছিলেন মন্তব্য করে নজরুল ইসলাম খান বলেন, নির্বাচন কমিশনার প্রথমে বললেন যদি সবাই না চায় তাহলে ইভিএমে নির্বাচন হবে না। আর এখন বলছেন নির্বাচন ইভিএমই হবে। আগে ছাত্রলীগ করতেন এখনো কি দলবাজি করছেন?

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি শ্যামা ওবায়েদের সভাপতিত্বে এবং প্রচার সম্পাদক সাইফুল ইসলাম সেকুলের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, কৃষক দল আবে কমিটির সদস্য লাল মিয়া মোহাম্মদ আনোয়ার, এম জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।


   আরও সংবাদ