ঢাকা, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ ভাদ্র ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

সিপিবির সমাবেশে বোমা হামলার রায়কে ঘিরে আদালত পাড়ায় কড়া নিরাপত্তা


প্রকাশ: ১৯ জানুয়ারী, ২০২০ ১৩:০০ অপরাহ্ন


সিপিবির সমাবেশে বোমা হামলার রায়কে ঘিরে আদালত পাড়ায় কড়া নিরাপত্তা

   

স্টাফ রিপোর্টার : ১৯ বছর আগে বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সমাবেশে বোমা হামলার ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করা হবে আজ। রায়কে ঘিরে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত ও এর আশাপাশে নেওয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

এর আগে রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে ২০১৯ সালের ১ ডিসেম্বর রায় ঘোষণার দিন ঠিক করেন ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ রবিউল আলম। তার আদালতেই সোমবার (২০ জানুয়ারি) মামলার রায় ঘোষণা করা হবে।

রায়কে ঘিরে সকাল থেকেই নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে আদালত ও এর আশপাশের এলাকা। মোতায়েন করা হয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য। আসামিদের কারাগার থেকে আদালতে নেওয়ার পথে যেন কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্য সজাগ রয়েছেন পুলিশ সদস্যরা।

ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের হাজতখানার কোর্ট ইন্সপেক্টর মুইনুল ইসলাম জানান, সিপিবির রায়কে ঘিরে এ দায়রা জজ আদালতের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা যেন না ঘটে, সেজন্য প্রস্তুত রয়েছেন তারা।

২০০১ সালের ২০ জানুয়ারি রাজধানীর পল্টন ময়দানে সমাবেশ করছিল বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)। ওই সমাবেশেই হামলে পড়ে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদের (হুজি) সদস্যরা। বোমা বিস্ফোরণে এক নারকীয় পরিস্থিতি তৈরি হয় পল্টন ময়দানে। ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান চার জন, পরে হাসপাতালে মারা যান আরও একজন। বোমার স্প্লিন্টারে আহত হন ২০ জন। ওই হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলা দায়েরের পর দেড় যুগেরও বেশি সময় চলে গেছে। অবশেষ হামলার ১৯ বছর পর অপেক্ষার অবসান ঘটতে যাচ্ছে। ঠিক যে দিনটিতে হুজি জঙ্গিরা হামলা চালিয়েছিল সিপিবি’র সমাবেশে, ১৯ বছর পরের ঠিক একই দিনে মামলাটির রায় ঘোষণা করবেন বিচারিক আদালত।

ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর মো. আব্দুল্লাহ আবু জানান, সাক্ষী ও আসামিদের গরহাজিরের কারণে মামলাটির বিচার কাজে দেরি হয়েছে। মামলার ১২ জন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছেন তারা। তিনি আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড প্রত্যাশা করেন।

তবে আসামিপক্ষের আইনজীবী ফারুক আহাম্মদের দাবি, রাষ্ট্রপক্ষ আসামিদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যপ্রমাণ হাজির করতে সক্ষম হয়নি। আসামিরা নির্দোষ। রায়ে আসামিরা খালাস পাবেন বলেও আশা করেন তিনি।

মামলায় অভিযুক্ত আসামিরা হলেন— মুফতি আব্দুল হান্নান, মুফতি মঈন উদ্দিন শেখ, আরিফ হাসান সুমন, মাওলানা সাব্বির আহমেদ, শওকত ওসমান ওরফে শেখ ফরিদ, মো. মশিউর রহমান, জাহাঙ্গীর আলম বদর, মহিবুল মুত্তাকিন, আমিনুল মুরসালিন, মুফতি আব্দুল হাই, মুফতি শফিকুর রহমান, রফিকুল ইসলাম মিরাজ ও নুর ইসলাম।

আসামিদের মধ্যে শেষ সাত জন পলাতক রয়েছে। বাকি ছয় জনের মধ্যে অন্য মামলায় জঙ্গি নেতা মুফতি আবদুল হান্নানের ফাঁসি কার্যকর হওয়ায় এই মামলার অভিযোগ থেকে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। বাকি পাঁচ জন কারাগারে রয়েছেন।


   আরও সংবাদ