ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ ভাদ্র ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

করোনা ভাইরাস ঝুঁকিতে রয়েছে বাংলাদেশ


প্রকাশ: ২৫ জানুয়ারী, ২০২০ ১৩:০০ অপরাহ্ন


করোনা ভাইরাস ঝুঁকিতে রয়েছে বাংলাদেশ

   

স্টাফ রিপোর্টার : করোনা ভাইরাস ঝুঁকিতে রয়েছে বাংলাদেশের কারণ চীনের সঙ্গে সরাসরি  যোগাযোগ রয়েছে দেশের। প্রতিদিন অনেক মানুষ বাংলাদেশ থেকে চীনে যাওয়া-আসা করছে।

এছাড়া অন্যান্য যেসব দেশে রোগটি সংক্রমিত হয়েছে, সে দেশগুলোর সঙ্গেও বাংলাদেশের সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে। তাই এখন পর্যন্ত  কোনো রোগী পাওয়া না  গেলেও বাংলাদেশকে ঝুঁকিমুক্ত বলা যাচ্ছে না। 

রোববার (২৬ জানুয়ারি) রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁয় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, চীন  থেকে আগত ফ্লাইটগুলোকে আমরা বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। সে সব ফ্লাইটের যাত্রীদের বায়োডাটা নেওয়া হচ্ছে। আমরা নিয়মিত তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। কারণ এখন সমস্যা না থাকলেও পরে  দেখা দিতে পারে। এজন্য ১৪ দিন ধরে তাদের বিষয়ে সার্বক্ষণিক খোঁজ নেওয়া হবে।

রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইসিডিডিআরের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেছেন, করোনা ভাইরাস নিয়ে আমরা মোটেও উদ্বিগ্ন নই। এ ভাইরাস মোকাবিলা করতে আমরা পুরোপুরি প্রস্তুত আছি। 

ইতোমধ্যে আমাদের কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে, কুর্মিটোলা হাসপাতাল ও সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতাল প্রস্তুত করা হয়েছে।

তিনি বলেন, বিমানবন্দরে তিনটি স্ক্যানারের মধ্যে দু’টি সচল রয়েছে। এছাড়া, আরও দু’টি হ্যান্ড স্ক্যানার রয়েছে যেগুলো দিয়ে সব যাত্রীদের পরীক্ষা করা হচ্ছে।

আজ আরও দু’টি হ্যান্ড স্ক্যানার বিমানবন্দরে দেওয়া হচ্ছে। তাছাড়া এ ভাইরাস  মোকাবিলায় কুর্মিটোলা হাসপাতাল ও সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতাল করা হয়েছে। সব মিলিয়ে বলতে পারি এভাইরাস নিয়ে আমরা মোটেও উদ্বিগ্ন নই, বরং বলতে পারি আমরা এ ভাইরাস  মোকাবিলায় পুরোপুরি প্রস্তুত রয়েছি।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. সানিয়া তহমিনা বলেন, এ মুহুর্তে আমরা স্থলবন্দরকে সতর্ক  রেখেছি। বিশেষ করে চীন  থেকে আসা যাত্রীদের স্ক্যান করা হচ্ছে। শুধু চীন নয় ভারত,  নেপালসহ অন্য  দেশের বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে।

শনিবার (২৫ জানুয়ারি) চীন  থেকে ১৮৩ যাত্রী  দেশে এসেছে। তাদের স্ক্যান করা হয়েছে। এছাড়াও বন্দরে অতিরিক্ত মেশিন যাচ্ছে।


   আরও সংবাদ