ঢাকা, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ ভাদ্র ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

ভোলায় কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে খেজুর গাছ ও রস গুড়ের ঐতিয্য


প্রকাশ: ৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২০ ১৩:০০ অপরাহ্ন


ভোলায় কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে খেজুর গাছ ও রস গুড়ের ঐতিয্য

   

ভোলা প্রতিনিধিঃ ভোলা জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে হেমন্ত শেষে যখন শীতের শুরুতে হালকা কুয়াশা আর হিমেল হাওয়া বয় তখন শুরু হয় খেজুর রস আহরণের মৌসুম। সন্ধ্যার আগেই গাছিরা খেজুর গাছের সাদা অংশ কেটে হাড়ি বসিয়ে দেন আর  কুয়াশাচ্ছন্ন সকালে খেজুরের রসে ভরা হাড়ি নিয়ে যান বাড়িতে। দুর-দুরান্ত থেকে মানুষ খেজুরের রস সংগ্রহ করতে এসে ভীড় করে গাছির বাড়িতে। বিক্রি শেষে বাকি রস দিয়ে তাওয়ায় জাল দিয়ে তা খেজুর গুড়ে পরিনত করে।
এই আমেজ আজ হারিয়ে যেতে বসেছে কারণ আগে যে পরিমাণ খেজুর গাছ ছিলো এখন আর নেই।

 খেজুর গাছ কমে যাওয়ার অন্যতম কারণ ইটের ভাটায় অবাঁধে খেজুর গাছ পোড়ানো  আর যা দু একটা  আছে  সঠিকমত গাছ কাটার কৌশল না জানার কারণে, সঠিক ব্যবস্থাপনার অভাব ও গাছিরা খেজুর রস আহরণ করেনা  বলেই তা সত্যি বিলুপ্তির পথে। আর রস ও গুড় যা পাওয়া যায় তা চড়াও দামে ক্রয় করতে হয় মানুষের।

বিভিন্ন গ্রামের গাছিদের সাথে কথা বলে জানা যায়, খেজুর গাছের সংখ্যা কম হওয়ায় তারা রস আহরণ করতে আগ্রহী হচ্ছেন না। তারা আরো বলেন, শীতের পিঠা ও পায়েসের জন্য খেজুরের রস ও গুড়ের বাড়তি চাহিদা রয়েছে। খেজুর গাছ দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে। তাই  খেজুর রসের ঐতিহ্য হারিয়ে যেতে বসেছে। এজন্য সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে বেশি বেশি খেজুর গাছ রোপণ করা প্রয়োজন বলেও জানান গাছিরা।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক কৃষিবিদ বিনয় কৃষ্ণ দেবনাথ বলেন, খেজুর গাছ আমাদের অর্থনীতিতে বিশেষ ভূমিকা রাখে। এর পরিকল্পিত আবাদ তেমন নেই, নির্বিচারে খেজুর গাছ কাটা হচ্ছে, যাহা পল্লী বাংলার পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। খেজুর গাছ থেকে সুমিষ্ট রস, গুড় আহরণে কেবল আমাদের রসনা তৃপ্তির জন্য নয় আমাদের পরিবেশ ও প্রাণ প্রকৃতির ভারসাম্য সুরক্ষায় খেজুর গাছের আবাদ সম্প্রসারণ জরুরি।


   আরও সংবাদ