ঢাকা, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ ভাদ্র ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

নরসিংদীতে কুয়াশার তীব্রতায় যান চলাচলে বিঘ্ন


প্রকাশ: ১৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২০ ১৩:০০ অপরাহ্ন


নরসিংদীতে কুয়াশার তীব্রতায় যান চলাচলে বিঘ্ন

   

নরসিংদী থেকে বোরহান মেহেদী : নরসিংদী জেলার সবর্ত্র তীব্র কুয়াশার কারনে রোডর্স এন্ড হাইওয়ে মধ্যরাত রাত থেকে যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। 

রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারী) ভোর সকালে জেলার নরসিংদী সদর, শিবপুর, বেলাবো, মনোহরদী, পলাশ, ঘোড়াশাল ও মাধবদী এলেকায় রাস্তায় ঘণ কুয়াশাতে চোখে সামনের চতুর্দিক শুধু দবল সাদা ধূয়া আর ধূয়া। ১০ হাত দূর পর্যন্ত দৃষ্টিতে কিছুই বুঝা বা দেখা মুশকিল হচ্ছে।

ফাল্গুনের অবির্ভাবে হালকা হলেও দু- দিন ধরে আকাশ ঘুমোট ভাব ধরে আছে। সাথে দুপুর পর্যন্ত কুয়াশার তীব্রতা বাড়ছে। দেখা গেছে নরসিংদীর লঞ্চ ঘাট থেকে ইঞ্জিনবাহী নৌকা বা লঞ্চ সময় মতো ছাড়তে পারছেনা। মেঘনা নদীতে দুচোখে সামনের জলসীমা ধূধূ সাদা। কিছুই দৃষ্টি গোচর হচ্ছেনা। তেমনি শীতলক্ষ্যাতেও জলযান চলাচল বন্ধ রয়েছে।

ঘন কুয়াশার কারনে ঠিক তেমনি শনিবার মধ্যরাত থেকে ঢাকা-সিলেট সড়কে সিলেটের দূরপাল্লার ঢাকাগামী বাসগুলোও চলাচলে বিঘ্ন হচ্ছে। অন্তজেলা যাত্রীবাহী যান ও প্রাণ আর এফ এলসহ অনান্য কারখানার পণ্যবাহী ভারী ট্রলিগাড়িগুলো রাস্তার ধারে জিমিয়ে দাড়িয়ে থাকছে। গাড়ির চালক সলিম শেখ জানান, কুয়াশায় সড়কে কিছুই দেখা যাচ্ছেনা। সুতরাং এক্সিডেন্টসের ভয়ে গাড়ি চালান বন্ধ রাখছি। দুপুরের দিকে সুর্য্যের আলো বাড়লে গাড়ি চালাবো।

তাছাড়া গ্রামের ভেতর ও এক গাঁ থেকে অন্য গাঁ দেখাতো দূর থাক পথেও সামান্য দৃষ্টিতে কিছু বুঝা যাচ্ছেনা। কুয়াশাতে চতুর্তিক ধবল  ধূয়াশাতে পরিণত হয়ে আছে। কৃষকরা হালচাষ করতেও আজ ভারো মাঠে যায়নি। অভিজ্ঞ মহল বলছে এই কুয়াশা দীর্ঘায়িত হলে রবি শষ্য যেমন শাক সবজী, তরিতরকারী, রোপা আমন চারা এবং আম মুকুলের চরম ক্ষতি হবে।  সবকিছুর উৎপাতন কমে যাবে।


   আরও সংবাদ