ঢাকা, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ ভাদ্র ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

মণিরামপুরে বন্দুকযুদ্ধে কেরু ডাকাত নিহত,অস্ত্র-গুলি উদ্ধার


প্রকাশ: ২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২০ ১৩:০০ অপরাহ্ন


মণিরামপুরে বন্দুকযুদ্ধে কেরু ডাকাত নিহত,অস্ত্র-গুলি উদ্ধার

   

মণিরামপুর (যশোর)প্রতিনিধিঃ  মণিরামপুরে পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে নুরুল হক ওরফে কেরু (৪৭) নামে এক ডাকাত নিহত হয়েছে।

 বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে দিকে যশোর-সাতক্ষীরা মহসড়কের মণিরামপুর বেগারিতলা-দোনার নামক স্থানে গোলাগুলির ঘটনায় কেরু ডাকাত নিহত হয়। এসময় ৩ পুলিশ সদস্য আহত হন। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ একটি ওয়ান শ্যুটারগান, এক রাউন্ড গুলি ও ৪টি দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে। নিহত ডাকাত নুরুল হক মণিরামপুর উপজেলার ভোজগাতী গ্রামের মৃত মাজেদ গাজীর পুত্র। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র ডাকাাতিসহ অন্তত ১৩টি মামলা রয়েছে। তার বিরুদ্ধে ১০ মামলা গ্রেফতারি পরোয়ানা ছিল।

কেশবপুর থানার ওসি জসিম উদ্দিন জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে সাতক্ষীরা জেলা বারুইহাট থেকে ২টি ইজিবাইক ছিনতাই করে কেশবপুর উপজেলার বগারমোড় নামক স্থানে পৌছুলে স্থানীয় জনতা নুরুল হক ওরফে কেরু এবং সাতক্ষীরা জেলার জয়নগর গ্রামের আনছার আলীর ছেলে শফিকুল ইসলাম শফি (৪৫) কে আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নুরুল হক ওরফে কেরু স্বীকার করে সে পেশাদার ডাকাত, তার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দ্রব্য, অস্ত্রসহ একাধিক মামলা রয়েছে। পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন খুলনা, যশোর, সাতক্ষীরা ও মাদারীপুর জেলার বিভিন্ন থানায় কেরুর বিরুদ্ধে ১৩টি মামলা রয়েছে। 


ওই রাতেই মণিরামপুর ও কেশবপুর থানা পুলিশ যৌথভাবে নুরুল হক নুরু ও শফিকুল ইসলাম শফিকে নিয়ে অস্ত্র উদ্ধারে নামে। মণিরামপুর উপজেলার বেগারিতলা এলাকার ফাতেমা নার্সারী নিকট পৌছুলে যশোর-সাতক্ষীরা মহাসড়কে কাঠের গুড়ি দিয়ে চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে তাদের উপর হামলা ও গুলিবর্ষণ করে নুরুল হককে ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে তার সহযোগীরা। এ সময় পুলিশ পাল্টা গুলি চালায়। এরই মধ্যে পুলিশের গাড়ির পিছন থেকে লাফ দিয়ে পালিয়ে যাবার চেষ্টা করলে তার সহযোগীদের ছোঁড়া গুলিতে মাথায় ও বুকে গুলিবিদ্ধ হয় নুরুল হক। 

এসময় পুলিশের কনস্টেবল নাজির আহম্মেদ (কং-৯০০), জিয়াউল হক (কং-১৪৯৪) ও  সুদেব কুমার সানা (কং-১৮২০) আহত হন।

 পুলিশ আহত নুরুল হককে উদ্ধার করে যশোর ২শ’৫০ শয্যা হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করে।  ঘটনাস্থল থেকে একটি ওয়ান শ্যুটার গান, এক রাউন্ড গুলি ও ৪টি দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।


 
পুলিশের একটি সূত্র জানায়, নিহত নুরুল হক কেরুর বিরুদ্ধে ২০১২ সালের ২৯ জুন খুলনা জেলার ডুমুরিয়া থানায় বিস্ফোরুক ধারায় মামলা, যার মামলা নং-৪৫, ২০১৪ সালের ৭ জুন যশোরের মনিরামপুর থানায় অস্ত্র আইনে মামলা হয়, যার মামলা নং-৫, একই থানায় ২০১৫ সালের ২ জুলাই বিস্ফোরক আইনে মামলা হয়, যার মামলা নং-০১। এসব মামলার এজহারে সে অভিযুক্ত।

বাকী ১০ মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে। এগুলো হলো খুলনা জেলার ডুমুরিয়া থানায় বিষ্ফোরক আইনে মামলা, যার এসটিসি নং-৯৩/২০১৩, ২০১৩ সালের ৩০ জুলাই সাতক্ষীরা জেলার পাটকেলঘাটা থানায় ১৭ নম্বর মামলায় জিআর নং-৮১/২০১৩, অস্ত্র আইনে সাতক্ষীরা জেলা ও দায়রা জজ ২য় আদালত, যার এসটিসি নং-১২৯/২০০৪, খুলনা জেলার ডুমুরিয়া থানায় ২০১২ সালের ২৯ জুন, যার জিআর-২৬৮/২০১২ (পেনালকোড), যশোর দায়রা জজ আদালত, যার এসটিসি নং-৭৪/২০১৯, যশোরের অতিরিক্তি দায়রা জজ ২য় আদালত, যার এসটিসি নং-৬৪২/২০১৪, মাদারীপুর জেলা ও দায়রা জজ,যার এসটিসি নং-২৮/২০১৩, যশোর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত, মণিরামপুর, যার জিআর নং-২২৪/২০১৩, মাদারীপুর জেলা দায়রা নং-১১২/২০১৩ এবং মনিরামপুর থানায় মামলা নং-০১, যার জিআর নং-১৯৩/২০১৫ এজহারে অভিযুক্ত। 

মণিরামপুর থানার ওসি রফিকুল ইসলাম জানান, নুরুল হক কেরু নিহতের ঘটনায় মণিরামপুর থানায় মামলা হয়েছে। 


   আরও সংবাদ