ঢাকা, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ ভাদ্র ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

ইবিতে বঙ্গবন্ধুর মুক্তির আহবান ও শ্বাশত মুজিব মুর‍্যাল উদ্ধোধন


প্রকাশ: ১৬ মার্চ, ২০২০ ১৪:০০ অপরাহ্ন


ইবিতে বঙ্গবন্ধুর মুক্তির আহবান ও শ্বাশত মুজিব মুর‍্যাল উদ্ধোধন

   

ইবি থেকে ফয়সাল আকবর : ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের সামনে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের প্রতিকৃতি মুক্তির আহবান ও শ্বাশত মুজিব নামে দুটি মনোমুগ্ধকর মুর‌্যালের উদ্বোধন করেছে উপাচার্য করেছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন উর রশীদ অাসকারী।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রভোস্ট প্রফেসর ড. তপন কুমার জোদ্দার এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. হারুন-উর-রশিদ আসকারী বলেন, 

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীতে আমাদের সকলের দায়িত্ব হবে বছরব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচীর মাধ্যমে আমাদের নতুন প্রজন্মের কাছে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও কর্মকে তুলে ধরা। 

তিনি বলেন, বাঙালী জাতির মুক্তির অংকুরগম হয়েছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মের মধ্যে দিয়ে। তিনি গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহন না করলে বাঙালি জাতি তার দীর্ঘদিনের শোষণ, বঞ্চনা হতে মুক্তি পেত না। তিনি পুরো জাতিকে দীর্ঘ ধারাবাহিক আন্দোলন সংগ্রামের পথ ধরে সুদীর্ঘ নয়মাস গনযুদ্ধের মধ্যে দিয়ে পাকিস্তানি হানাদারমুক্ত করেছিল স্বপ্নের সোনার বাংলাকে। 

তিনি অারো বলেন,পৃথিবীতে অনেক বড় বড় নেতা রয়েছে যেমন চীনে মাও সেতুং, জামার্নিতে বিসমার্ক, দক্ষিন আফ্রিকাই নেলসন ম্যান্ডেলা, ইন্দোনেশিয়াই মেঘবতী সুকর্ণপতি, মালোয়েশিয়ায় মাহাথির মোহাম্মদ, ভারতে মাহাত্মা গান্ধি ঠিক তেমনি আমাদের দেশে ইতিহাসের পাতায় স্বর্নাক্ষরে লেখা রয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম। 

তিনি নতুন প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কর্ম, আর্দশ ও চেতনাকে ধারন করে অসাম্প্রদায়িক ও মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্ভুদ্ধ হয়ে দেশকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলায় গড়ে তুলবার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানান। এজন্য বর্তমানে বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেএী শেখ হাসিনার হাতকে আরো শক্তিশালী করতে হবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রো ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. শাহিনুর রহমান বলেন, আজকের এই দিন শুধু বাঙালী জাতির জন্য নয় বরং সকল বাঙালী ভাষাভাষী মানুষের জন্য কারন বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে এই দেশ কখনোই স্বাধীন হতো না। তাই যতদিন বাংলদেশ থাকবে ততদিন বাঙালি জাতির মুক্তি দিশারী হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর স্মৃতি আদর্শ বংশ পরমপরায় চলে আসবে।

তিনিই দেখিয়েছিলেন যে, বাঙালি জাতি বীরের জাতি। তাদেরকে শত বাধা বিপত্তি ঠেকিয়ে রাখা যায় না। প্রো ভাইস চ্যান্সেলর বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন মানবিক গুনাবলীতে অতুলনীয়। তিনি সাম্প্রদায়িক বিষবৃক্ষ পছন্দ করতেন না এজন্য তিনি সাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী মুসলিম লীগ থেকে বেরিয়ে এসে আওয়ামীলীগ গঠন করেছিলেন। তার দেখানো পথ ধরে বর্তমানে বঙ্গবন্ধুর রক্তের উত্তরসূরী সুযোগ্য তনয়া জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে আজ উন্নয়নের রোল মডেলে পরিনত করেছে। 

তার বলিষ্ঠ, সাহসী ও দৃঢ় নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের কাতারে এসেছে। তাই ভিশণ ২০-২১ এবং রুপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশ অচিরেই পৃথিবীর কাছে উন্নত দেশ হিসাবে পরিগণিত হবে। 

এছাড়া বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ট্রেজারার প্রফেসর ড. সেলিম তোহা বলেন, বঙ্গবন্ধুকে শুধু ম্যুরালের মধ্যেই সীমাবদ্ধ করলে হবে না বরং তাঁর আর্দশ, কর্ম ও চেতনাকে আমাদের সকলের মেধা ও মননে ধারন করতে হবে এবং নতুন প্রজন্মের মধ্যে তা ছড়িয়ে দিতে হবে। তাহলেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে। 

এ সময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. কাজী আকতার হোসেন, প্রফেসর ড. রুহুল কে এম সালেহ, প্রক্টর প্রফেসর ড. পরেশ চন্দ্র বর্ম্মণ, ছাত্র- উপদেষ্টা প্রফেসর ড. সাইদুর রহমান, প্রফেসর ড. জাকারিয়া রহমান, প্রফেসর ড. মাহবুবর রহমান, প্রফেসর ড. মেহের আলী, প্রফেসর ড. সেলিনা রহমান, প্রফেসর ড. আত প্রমুখ। 


   আরও সংবাদ