ঢাকা, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ ভাদ্র ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

চীন ও রাশিয়াকে নিয়ে নতুন পারমাণবিক চুক্তিতে আগ্রহী ট্রাম্প


প্রকাশ: ২ অগাস্ট, ২০১৯ ১৪:০০ অপরাহ্ন


চীন ও রাশিয়াকে নিয়ে নতুন পারমাণবিক চুক্তিতে আগ্রহী ট্রাম্প

   

রাশিয়া ও চীনের সঙ্গে নতুন একটি পরমাণু চুক্তি করতে চান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ বিষয়ে রাশিয়া ও চীনের সঙ্গে কথা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন ট্রাম্প। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্পের দাবি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তি করতে দুটি দেশই অধীর আগ্রহী।

শুক্রবার রাশিয়ার সঙ্গে ১৯৮৭ সালে স্বাক্ষরিত দ্য ইন্টারমিডিয়েট-রেঞ্জ নিউক্লিয়ার ফোর্সেস ট্রিটি (আইএনএফ) বাতিল করে যুক্তরাষ্ট্র।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যান ও সোভিয়েত নেতা মিখাইল গর্বাচেভের শাসনামলে স্বাক্ষরিত এই চুক্তির আওতায় ৫০০ থেকে ৫ হাজার ৫০০ কিলোমিটার পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদন নিষিদ্ধ হয়েছিল। রাশিয়ার বিরুদ্ধে নতুন ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনের মাধ্যমে এই চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে ওই চুক্তি বাতিল করে যুক্তরাষ্ট্র। তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে রাশিয়া। দুই পরাশক্তির চুক্তি বাতিলের পর বিশ্বে নতুন করে অস্ত্র প্রতিযোগিতার আশঙ্কা তৈরি হয়।

চুক্তি বাতিলের পর নতুন পারমাণবিক অস্ত্র প্রতিযোগিতা কিভাবে এড়াবেন এমন প্রশ্নের জবাবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, তার প্রশাসন রাশিয়ার সঙ্গে নতুন পারমাণবিক চুক্তির বিষয়ে আলোচনা করছে। ‘যাতে করে তারাও কিছু ছাড় পায়, আমরাও কিছু ছাড় পাই’ বলেন তিনি।

ট্রাম্প বলেন, কোনও কোনও ক্ষেত্রে আমাদের চীনকেও যুক্ত করতে হবে। নতুন এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে বলে আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, এটি দুনিয়ার জন্য একটি বড় ঘটনা হবে।

সাংবাদিকদের তিনি বলেন, এই নিয়ে আলোচনায় চীন খুবই উৎসাহ দেখিয়েছে আর রাশিয়ার মনোভাবও একই। সে কারণে আমার মনে হয় আমরা চুক্তিতে পৌঁছাতে পারবো।

আইএনএফ চুক্তি থেকে সরে আসার পর নতুন করে পরমাণবিক অস্ত্র প্রতিযোগিতা শুরুর বিষয়টি কিভাবে মোকাবিলা করবেন ট্রাম্প, এমন প্রশ্নের জবাবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট দাবি করেন, রাশিয়ার সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করছে তার প্রশাসন।

এ ধরনের একটি চুক্তি হলে তা ‘বিশ্বের জন্য বিরাট কিছু’ হবে দাবি করে ট্রাম্প চুক্তিটি হওয়ার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

শুক্রবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেন, এই চুক্তি ভেস্তে যাওয়ার জন্য রাশিয়া এককভাবে দায়ী। ন্যাটো মিত্রদের পূর্ণ সমর্থনের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র নিশ্চিত হয়েছে যে চুক্তির শর্ত ভঙ্গের জন্য রাশিয়া দায়ী। এর ফলে এই চুক্তির শর্ত মানতে যুক্তরাষ্ট্রের আর কোনও দায়বদ্ধতা নেই।

এরপরই রুশ বার্তা সংস্থা রিয়া নভোস্তি জানায়, রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এক বিবৃতিতে নিশ্চিত করেছেন চুক্তিটি ‘আনুষ্ঠানিকভাবে মৃত’।


   আরও সংবাদ