ঢাকা, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ ভাদ্র ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

বাংলাদেশের পোশাক খাতে আর্থিক সহায়তা দেবে জার্মানি


প্রকাশ: ৩ এপ্রিল, ২০২০ ১৪:০০ অপরাহ্ন


বাংলাদেশের পোশাক খাতে আর্থিক সহায়তা দেবে জার্মানি

   

কূটনৈতিক প্রতিবেদক : চলমান করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে দেশের তৈরি পোশাক খাতে একের পর এক ক্রেতাদের ক্রয়াদেশ বাতিল বা স্থগিত হচ্ছে। তৈরি পোশাক খাতের মালিক ও রফতানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ-এর দেওয়া ৩ এপ্রিলের তথ্য অনুযায়ী, পোশাকের ক্রয়াদেশ স্থগিত ৩০০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে গেছে।

এমন সময়ে জার্মান সরকার ঘোষণা দিয়েছে যে তারা বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতের এমন দুঃসময়ে আর্থিক সহায়তার প্যাকেজ দেবে। তবে এই আর্থিক সহায়তার প্যাকেজের পরিমাণ এবং বিস্তারিত এখনো প্রকাশ করা হয়নি।

বাংলাদেশে জার্মান রাষ্ট্রদূত পিটার ফারেনহোল্টস এক টুইট বার্তায় জানান, বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতকে সহায়তা করতে জার্মানির উন্নয়ন সংক্রান্ত মন্ত্রণালয় সহায়তা প্যাকেজ ঘোষণার কাজ করছে। এই খাত সংশ্লিষ্ট সকলের সঙ্গে সমন্বয় রেখেই কাজ করা হচ্ছে।

তিনি আরও জানান, এই সময়ে পোশাক খাতের যে সকল কর্মীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের জন্যই এই আর্থিক প্যাকেজ সহায়তার কাজ চলছে।

এদিকে, করোনাভাইরাসের প্রভাবে পোশাকের ক্রয়াদেশ স্থগিত ৩ শ কোটি ডলার ছাড়িয়ে গেছে বলে জানিয়েছে তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ। সংগঠনটি বলছে, এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৯৭টি কারখানার ৯৪৫ দশমিক ৩১ মিলিয়ন পিস পণ্যের অর্ডার স্থগিত হয়েছে। এর আর্থিক মূল্য ৩০১ কোটি ডলার।

অন্যদিকে, স্বস্তির খবর হচ্ছে খ্যাতনামা অনেক ক্রেতাই এখন ক্রয়াদেশ বাতিলের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে। তারা তাদের বিদ্যমান ক্রয়াদেশ বহাল রাখছেন। শিপমেন্টের অপেক্ষায় থাকা পণ্য নেওয়ার ব্যাপারেও তারা ইতিবাচক ভূমিকা দেখিয়েছেন। ক্রেতাদের এমন সিদ্ধান্তের ফলে করোনার প্রভাবে যে ৩০০ কোটি ডলারের পোশাক ক্রয়াদেশ স্থগিত বা বাতিলের কথা বলা হচ্ছিল তা কমে আসবে বলে এই খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন।

তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ সভাপতি রুবানা হক জানান, এইচঅ্যান্ডএম, ইন্ডিটেক্স, পিভিএইচ, টার্গেট এবং কিয়াবির মতো ক্রেতারা আমাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। তারা তাদের ক্রয়াদেশ বহাল রাখার কথা জানিয়েছে। আগামী মঙ্গলবার সিঅ্যান্ডএ আমাদের সঙ্গে আলোচনা করে তাদের সিদ্ধান্ত জানাবে।

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের প্রতি সমর্থন দেওয়ায় তাদের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই। আশা করি অর্থ প্রদানে তাদের শর্তগুলো এই সময়ে শিথিল থাকবে।’ তবে এখন পর্যন্ত ক্রয়াদেশ বহাল রাখার ফলে ক্ষতি কতটা কমে এসেছে তা জানানো হয়নি বিজিএমইএর পক্ষ থেকে।


   আরও সংবাদ