ঢাকা, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ ভাদ্র ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

১৬ এপ্রিলের মধ্যে বেতন পরিশোধে ব্যর্থ কারখানার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা


প্রকাশ: ১৫ এপ্রিল, ২০২০ ১৪:০০ অপরাহ্ন


১৬ এপ্রিলের মধ্যে বেতন পরিশোধে ব্যর্থ কারখানার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা

   

স্টাফ রিপোর্টার : করোনা পরিস্থিতিতে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী ১৬ এপ্রিলের মধ্যে শিল্প শ্রমিকদের বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধে ব্যর্থ কারখানাগুলোর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সতর্কতা জানিয়েছে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর। 

গত ১৪ এপ্রিল কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক শিবনাথ রায় স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বিভিন্ন শিল্প কারখানার মালিকদের উদ্দেশ্যে এ সতর্কতা জানানো হয়। 
 
চিঠিতে বলা হয়, বিশ্বব্যাপী নভেল করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের কারণে ইতোমধ্যে বাংলাদেশেও শিল্প কলকারখানার সামগ্রিক কর্মকাণ্ড, শ্রমিকদের জীবন ও আর্থিক নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়েছে। দেশে করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকার পূর্ব ঘোষিত ছুটি বৃদ্ধি করে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে।

‘এ অবস্থায় পূর্ববর্তী মাসের বেতন-ভাতাদি চলতি মাসের ৭ কর্ম দিবসের মধ্যে পরিশোধ করার আইনগত বাধ্যবাধকতা রয়েছে। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে তৈরি পোশাক শিল্প মালিক সংগঠন বিজিএমইএ এবং বিকেএমইএ-এর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে শ্রমিক-কর্মচারীদের মার্চ মাসের বেতন-ভাতাদি পরিশোধের জন্য ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত সময় বর্ধিত করা হয়। কিন্তু দেখা যাচ্ছে যে, কোনো কোনো কলকারখানার মালিক উক্ত সময়ের মধ্যে বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধ করতে দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। ফলস্বরূপ শ্রমিকরা করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি উপেক্ষা করে বেতন-ভাতার দাবিতে মহাসড়ক ও কলকারখানার গেটে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছে, যা অনাকাঙ্ক্ষিত।’
 
এর পরিপ্রেক্ষিতে যে সব কলকারখানার মালিক চলতি মাসের ১৬ তারিখের মধ্যে শ্রমিক কর্মচারীদের বকেয়া বেতন ভাতা পরিশোধ করবেন না, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে ওই চিঠিতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের উপ-পরিদর্শকদের নির্দেশনা দেন মহাপরিদর্শক। 
 
এ প্রসঙ্গে চিঠিতে বলা হয়, বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধে ব্যর্থ কলকারখানাগুলোর একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ তালিকা মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর জন্য আগামী ২০ এপ্রিলের মধ্যে অত্র কার্যালয়ে দাখিল করতে হবে। 

বাংলাদেশ শ্রম আইন- ২০০৬ (সংশোধিত ২০১৮) অনুযায়ী মালিকদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আদালতে মামলা দায়েরের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। আগত অর্থবছরে মজুরি পরিশোধে ব্যর্থ হলে তালিকাভুক্ত কলকারখানার লাইসেন্স নবায়ন স্থগিত করতে হবে।

এর আগে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান শ্রমিকদের বেতন-ভাতা দেওয়ার ব্যাপারে কলকারাখানা মালিকদের হুঁশিয়ার করে বলেন, করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে কারখানা ‘বন্ধ ও খোলার খেলার’ মাঝে ১৬ এপ্রিলের মধ্যেই সব শিল্প কলকারখানার শ্রমিকদের মার্চ মাসের বেতন পরিশোধ করতে হবে। এ নির্দেশ না মানলে বা উক্ত তারিখের মধ্যে বেতন দিতে ব্যর্থ হলে সংশ্লিষ্ট মালিকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এদিকে ১৬ এপ্রিলের মধ্যে শ্রমিকদের বেতন-ভাতা দেওয়া প্রসঙ্গে বিজিএমই জানিয়েছে, ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত তাদের তালিকাভুক্ত ২ হাজার ২৭৪টি কারখানার মধ্যে ১ হাজার ১৮৬টি, অর্থাৎ প্রায় প্রায় ৭৮ শতাংশ কারখানা শ্রমিকদের বেতন দিয়েছে। 


   আরও সংবাদ