ঢাকা, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ ভাদ্র ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

কিশোরগঞ্জ মনে করে আমরা তো রাষ্ট্রপতি


প্রকাশ: ১৯ এপ্রিল, ২০২০ ১৪:০০ অপরাহ্ন


কিশোরগঞ্জ মনে করে আমরা তো রাষ্ট্রপতি

   

স্টাফ রিপোর্টার : কিশোরগঞ্জের মানুষ কিশোরই থেকে গেছে। কিশোরগঞ্জ হলো রাষ্ট্রপতির জেলা। সেজন্য কিশোরগঞ্জ মনে করে আমরা তো রাষ্ট্রপতি।’

সোমবার (২০ এপ্রিল) গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে কিশোরগঞ্জ জেলার সঙ্গে মতবিনিময়কলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।

দেশব্যাপী করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) মোকাবিলার কার্যক্রম সমন্বয় করার লক্ষে ঢাকা বিভাগের কিশোরগঞ্জ, টাঙ্গাইল, গাজীপুর ও মানিকগঞ্জ জেলা এবং ময়মনসিংহ বিভাগের জেলাগুলোর সঙ্গে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্স করেন প্রধানমন্ত্রী।

কিশোরগঞ্জে ব্যাপক পরিমাণে ধান উৎপাদনের দিকটির কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কিশোরগঞ্জে এতো ধান হয়, তবে সেখানে বোধহয় কোনো রাইস মিল নেই। করা আছে, কারো আছে ওখানে রাইস মিল। এর জবাবে জেলা প্রশাসক (ডিসি) সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী বলেন, ‘না স্যার’। 

এরপর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জিল্লুর রহমান বলেন, ‘রাইস মিল নাই, কোন রাইস মিল নাই। কারণ হইছে কি হাওর এলাকা তো, আপনার বদান্যতায় এবং মহামান্য রাষ্ট্রপতির চেষ্টায় আমাদের তো যোগাযোগ ব্যবস্থাটা হইছে। কারণ এতোদিন তো কোনো যোগাযোগ ব্যবস্থাই আমাদের ছিল না।’

এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আসলে তা না। ওই কিশোরগঞ্জের মানুষ কিশোরই থেকে গেছে। তারা চিন্তাই করে নাই, যে একটা রাইস মিল লাগবে বা কিছু লাগবে। ইউনিভার্সিটি করা, তারপরে হাওরে মাছ ওঠে, তার জন্য হ্যাচার্ড তৈরি করা, একটা বরফ কল ছিল না। তো আমি এজন্য বললাম, কিশোরগঞ্জ একদিকে কিশোর থেকে গেছে, আবার ওদিক থেকে দেখা গেল, কিশোরগঞ্জ তো রাষ্ট্রপতির জেলা।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কিশোরগঞ্জ থেকেই স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালীন সময় উপ-রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম সাহেব, অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি হিসেবে যুদ্ধ পরিচালনা করার দায়িত্ব নিলেন এরপর জিল্লুর রহমান সাহেব রাষ্ট্রপতি, এখন হামিদ সাহেব রাষ্ট্রপতি; মানে কিশোরগঞ্জ হলো রাষ্ট্রপতির জেলা। সেজন্য কিশোরগঞ্জ মনে করে আমরা তো রাষ্ট্রপতি, এটাও আবার একটা বিষয় আছে। এজন্য বোধহয় কিছুই হয় না। ’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘যাই হোক আমার মনে হয়, অনেক ব্যবসায়ী আছে। একটা আধুনিক রাইস মিল যদি করা যায় তাহলে এই কৃষকরাও যথাযথ দাম পাবে আর এই ফসলটাও আমরা রাখতে পারব। তাছাড়া আপনারা জানেন যে, কয়েকটা নতুন সাইলো তৈরি করছি। যেমন সান্তাহারে আমরা করেছি। যার ফলে তিনবছর পর্যন্ত চাল সেখানে ভালো থাকবে। সেখানে ছিলিং সিস্টেম আছে। কিশোরগঞ্জের মাছ-চাল এগুলো দিয়েই তো অনেক মানুষ সম্পদশালী হয়ে যাবে। সেটির ব্যবস্থা করলে ভালো হয়।’

ভিডিও কনফারেন্সে কিশোরগঞ্জ প্রান্ত থেকে যুক্ত ছিলেন কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও রাষ্ট্রপতির বড় ছেলে রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক, কিশোরগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য আফজল হোসেন, কিশোরগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য নূর মোহাম্মদ, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাহবুবুর রহমানসহ প্রশাসনের অন্য কর্মকর্তারা।


   আরও সংবাদ