ঢাকা, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ ভাদ্র ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

ইতোমধ্যে হাওরের ৪৪ শতাংশ ধান কর্তন শেষ হয়েছে : কৃষিমন্ত্রী


প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল, ২০২০ ১৪:০০ অপরাহ্ন


ইতোমধ্যে হাওরের ৪৪ শতাংশ ধান কর্তন শেষ হয়েছে : কৃষিমন্ত্রী

   

স্টাফ রিপোর্টার : কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, কৃষি মন্ত্রণালয়ের নানান উদ্যোগের ফলে হাওরের কৃষকেরা ভালভাবে ধান কাটতে পারছে, ইতোমধ্যে ৪৪% ধান কর্তন করে ঘরে তুলতে পেরেছে। 

শনিবার (২৫ এপ্রিল) কৃষিমন্ত্রী তাঁর সরকারি বাসভবন থেকে এক ভিডিও বার্তায় এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, পরিবহন নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও ধান কাটার জন্য বিভিন্ন জেলা থেকে শ্রমিকদের আনার ব্যবস্থা আমরা করেছি। স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিভিন্ন জেলা থেকে শ্রমিকরা এসেছে। শ্রমিকের পাশাপাশি হাওড় এলাকায় ধান কাটার জন্য কম্বাইন্ড হার্ভেস্টার ও রিপার ব্যবহৃত হচ্ছে। এসব যন্ত্রপাতি দিয়ে পুরোদমে ধান কাটা চলছে। 

কৃষিমন্ত্রী বলেন, ব্রি ২৮ জাতের ধান আগে পাকে, এটি কাটা প্রায় শেষ হয়েছে। ব্রি-২৯ জাতের ধান এখনও পাকে নাই, আরও ৭-৮ দিন সময় লাগবে। অস্বাভাবিক বৃষ্টিপাত বা আগাম বন্যা না হলে যে গতিতে ধান কাটা চলছে, আমরা আশাবাদী হাওরের কৃষকেরা আগামী ১০ দিনের মধ্যে সময়মতো ধান ঘরে তুলতে পারবে।

এসময় তিনি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, স্থানীয় প্রশাসন, জেলা পুলিশ, স্বাস্থ্য বিভাগ এবং জেলা/উপজেলা/ইউনিয়ন কৃষি বিভাগকে ধন্যবাদ জানান। পাশাপাশি কৃষিমন্ত্রী সামাজিক সচেতনতার ফলে বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন-কৃষকলীগ, ছাত্রলীগ, অন্যান্য রাজনৈতিক সংগঠন, সামাজিক সংগঠন, স্কুল-কলেজের ছাত্র-শিক্ষকসহ নানান পেশার মানুষ যারা ধান কাটায় এগিয়ে এসেছেন, কৃষকের ধান কেটে দিচ্ছেন তাঁদের সকলকে ধন্যবাদ জানান।

উল্লেখ্য,কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যানুসারে হাওরাঞ্চলের কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোনা, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, সিলেট, ব্রাহ্মণবাড়িয়া- এই সাতটি জেলায় এবছর শুধু হাওরে ৪ লাখ ৪৫ হাজার ৩৯৯ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদ হয়েছে। 

এর মধ্যে (২৪ এপ্রিল) পর্যন্ত কর্তন হয়েছে ১.৯৮ লক্ষ হেক্টর জমির ধান যা শতকরা ৪৪ ভাগ। সিলেটে ৫৩%, মৌলভীবাজারে ৫৪%, হবিগঞ্জে ৩৭%, সুনামগঞ্জে ৪৮%, নেত্রকোনায় ৫৬%, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৫৬% ধান কর্তন হয়েছে। হাওড় এলাকায় ৩০৯২৪৪ জন শ্র্রমিক, ৩৫৯ টি কম্বাইন হার্ভেস্টার ও ৪৪২ টি রিপার ধান কর্তনের কাজে নিয়োজিত আছে। 

কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, বৈশ্বিক মহামারী করোনার কারণে বিশ্বব্যাপী খাদ্য উৎপাদন ব্যাহত ও সরবরাহ ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ার বিষয়ে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (FAO) ইতোমধ্যেই সতর্কবাণী উচ্চারণ করেছে। করোনার কারণে খাদ্য সংকটে পড়তে পারে পুরো বিশ্ব। দেখা দিতে পারে দুর্ভিক্ষও। এর প্রভাব বাংলাদেশেও পড়তে পারে। 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতোমধ্যেই করোনার মহামারির কারণে মন্দার হাত থেকে অর্থনীতিকে রক্ষা করতে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি ও মজুদ বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন। প্রতি ইঞ্চি জমিতে ফসল ফলানোর নির্দেশনা দিয়েছেন।
 
তিনি বলেন, কৃষি মন্ত্রণালয় সেলক্ষে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আশা করি, কৃষি উৎপাদন ও বৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রাখতে পারব। বাংলাদেশে খাদ্যের সংকট হবে না, তার জন্য যা যা করা দরকার, আমরা সেসব পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। আমরা কৃষকের পাশে দাঁড়িয়েছি। আমরা তাদেরকে অর্থনৈতিক সহযোগিতা দিব, সার, বীজ,বালাইনাশক, সেচসহ সমস্ত উপকরণের নিশ্চয়তা দিব।


   আরও সংবাদ