ঢাকা, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ ভাদ্র ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

আগামীকাল থেকে চামড়া বেচা-কেনা শুরু


প্রকাশ: ১৭ অগাস্ট, ২০১৯ ১৪:০০ অপরাহ্ন


আগামীকাল থেকে চামড়া বেচা-কেনা শুরু

   

পবিত্র ঈদ-উল-আজহায় সংগৃহীত কাঁচা চামড়া আগামীকাল (১৯ আগস্ট) সোমবার থেকে বেচা-কেনা শুরু করতে একমত হয়েছেন চামড়া শিল্প সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।

আজ রোববার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক বৈঠকে বাংলাদেশ হাইড এন্ড স্কিন মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশন এবং বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা সম্মিলিতভাবে এ সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন।

শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের সভাপতিত্বে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মফিজুল ইসলাম, শিল্পসচিব মো. আবদুল হালিম, অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক, চামড়া শিল্প সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংগঠন, জেলা পর্যায়ের চামড়া ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে পবিত্র ঈদ-উল-আজহায় চামড়া সংগ্রহ পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হয়। এ সময় মাঠ পর্যায়ের চামড়া ব্যবসায়ীরা জানান, অতিরিক্ত গরমের কারণে এ বছর দেশজুড়ে প্রায় ১০ হাজার পশুর চামড়া নষ্ট হয়েছে। গণমাধ্যমে পশুর চামড়া পুঁতে ফেলার যে দৃশ্য ধারণ করা হয়েছে, তা উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলেও তারা উল্লেখ করেন। এর মাধ্যমে দেশের উদীয়মান চামড়া শিল্পখাতের প্রবৃদ্ধি ঠেকানো এবং ভাবমূর্তি নষ্ট করার ষড়যন্ত্র থাকতে পারে বলে তারা মন্তব্য করেন।

চামড়া ব্যবসায়ীরা ভবিষ্যতে কোরবানির পশুর চামড়া নিয়ে যে কোনো ধরনের ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় শিল্প, বাণিজ্য ও অর্থ মন্ত্রণালয়, এফবিসিসিআই, চামড়া শিল্প সংশ্লিষ্ট সংগঠন, জেলা পর্যায়ে ব্যবসায়ী প্রতিনিধি ও অভিজ্ঞ চামড়া শিল্প উদ্যোক্তাদের নিয়ে একটি কমিশন গঠনের পরামর্শ দেন।

বৈঠকে ট্যানারি মালিকরা আগামী তিন মাসের মধ্যে সংগৃহীত কোরবানির পশুর চামড়া কেনার প্রতিশ্রুতি দেন। একই সাথে তারা আড়তদারদের বকেয়া পাওনা পরিশোধের বিষয়েও আশ্বস্ত করেন। অন্যদিকে আড়তদাররা দীর্ঘদিনের ব্যবসায়িক সম্পর্কের প্রতি আস্থা রেখে ট্যানারি মালিকদের কাছে চামড়া সরবরাহের নিশ্চয়তা দেন।

বৈঠকে আড়তদারদের বিগত বছরগুলোর বকেয়া পাওনা পরিশোধের বিষয়ে এফবিসিসিআই’র মধ্যস্থতায় ২২ আগস্ট উভয় পক্ষকে নিয়ে একটি সভা আয়োজনের সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। ওই সভায় ট্যানারি মালিকরা আড়তদারদের বকেয়া পাওনা পরিশোধের কৌশল নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবেন। একই সাথে প্রকৃত ঋণগ্রস্ত ট্যানারি মালিকদের ব্যবসা পরিচালনার সুবিধার্থে প্রয়োজনীয় সহায়তার ব্যাপারেও সরকারের কাছে সুপারিশ করবে বলে জানানো হয়।

বৈঠকে শিল্পমন্ত্রী বলেন, উদীয়মান চামড়া শিল্পের স্বার্থ রক্ষায় বর্তমান সরকার সম্ভব সব ধরনের নীতি সহায়তা দেবে। সরকার চামড়া ব্যবসার নামে কাউকে জিম্মি করতে দেবে না। তিনি এ শিল্পের ঐতিহ্য রক্ষায় ট্যানারি মালিক, আড়তদার, ব্যবসায়ীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে পেশাদারিত্বের সাথে কাজ করার পরামর্শ দেন।


   আরও সংবাদ