ঢাকা, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ ভাদ্র ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

মণিরামপুরে সরকারিভাবে বোরো ধান সংগ্রহে লটারির আয়োজন


প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল, ২০২০ ১৪:০০ অপরাহ্ন


মণিরামপুরে সরকারিভাবে বোরো ধান সংগ্রহে লটারির আয়োজন

   

মণিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি : যশোরের মণিরামপুরে সরকারি খাদ্য গুদামে ন্যায্যমূল্যে বোরো ধান সংগ্রহে কৃষক বাছাইয়ে লটারির আয়োজন করা হয়। 

বৃহস্পতিবার (৩০ এপ্রিল) উপজেলার ১টি পৌরসভা ও ১৭টি ইউনিয়ন পর্যায়ে উপজেলা খাদ্য শস্য ক্রয় কমিটির তত্বাবধানে এ লটারি অনুষ্ঠিত হয়। 

স্বচ্ছতার মাধ্যমে তালিকা প্রনয়ন তথা প্রকৃত বোরো চাষী বাছাইয়ের লক্ষ্যে ইউনিয়ন পর্যায়ে গঠিত উপ-কমিটির ব্যবস্থাপনায় আয়োজিত এ লটারি কার্যক্রমে উপজেলা পর্যায়ের একজন কর্মকর্তাকে তদারকি কর্মকর্তা ও আরও অতিরক্তি দুইজন কর্মকর্তাকে ট্যাগ অফিসারের দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন। 

উপজেলা খাদ্য শস্য ক্রয় কমিটির সদস্য সচিব ও উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা মামুন হোসেন জানান, চলতি বোরো মৌসুমে উপজেলার ১৭ টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার ৪০০১ জন কৃষকের কাছ থেকে সরাসরি সরকারিভাবে কৃষক প্রতি ১ মেঃটন করে সর্বমোট ৪০০১ মেঃটন ধান ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

গত ২৬ এপ্রিল অনুষ্ঠিত উপজেলা খাদ্য শস্য ক্রয় ও সংগ্রহ কমিটির সভায় এ সংক্রান্ত সভায় উক্ত লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করে উপজেলা কৃষি অফিসের উপর কৃষক বাছাইয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়। 

আজ বৃহস্পতিবার পৌরসভা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে গঠিত স্ব-স্ব উপকমিটি লটারির মাধ্যমে ৪ হাজার কৃষকের খসড়া তালিকা প্রস্তুত করেছেন। পাশাপাশি আরও ২ হাজার কৃষকের অপেক্ষমান তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। 

তিনি আরও জানান, লটারির মাধ্যমে বাছাইকৃত কৃষকের তালিকা যাছাই বাছাই করে উপজেলা কৃষি অফিস চূড়ান্ত তালিকা প্রস্তুত করত: আগামী ৫ মে’র মধ্যে উপজেলা খাদ্য শস্য ক্রয় ও সংগ্রহ কমিটির কাছে পেশ করবেন। 

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বিকাশ চন্দ্র সরকার বলেন, তিনি তদারকি কর্মকর্তা হিসেবে ঢাকুরিয়া ইউনিয়নের দায়িত্বে ছিলেন। ওই ইউনিয়নে ৩৫০ জন কৃষকের খসড়া তালিকা লটারির মাধ্যমে প্রস্তুত করা হয়েছে। অপেক্ষমান তালিকায় রাখা হয়েছে আরও ১৫০ জন। কৃষক বাছাইয়ে লটারি খুবই সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন। 

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা খাদ্য শস্য ক্রয় ও সংগ্রহ কমিটির সভাপতি মোঃ আহসান উল্লাহ শরিফী জানান, চলতি বোরো মৌসুমে সরকারিভাবে ন্যায্য মূল্যে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ধান ক্রয়ের জন্য কৃষক বাছাই তথা কৃষকের খসড়া তালিকা প্রস্তুতের কাজটি উপজেলার ১৮টি পয়েন্টে সুষ্ঠু ও স্বচ্ছতার মাধ্যমে করা হয়েছে। 

এই তালিকা প্রতিটি ইউনিয়নের নোটিশ বোর্ডে ও ওয়েবসাইটে প্রকাশ করার ব্যবস্থা করা হবে।  আগামী ৫ মে’র মধ্যে উপজেলা কৃষি অফিস ওই খসড়া তালিকা যাচাই বাছাই করে চূড়ান্ত তালিকা প্রনয়ন করবে। চলতি বোরো মৌসুমেও কৃষক প্রতি সর্বোচ্চ ১ মেঃটন করে ধান ক্রয় করা হবে এবং ধানের মূল্য নির্ধারন করা হয়েছে প্রতি কেজি ২৬ টাকা দরে। 

উপজেলা খাদ্য ক্রয় কমিটির হাতে কৃষকদের চূড়ান্ত তালিকা পৌছানোর পর পরই ধান ক্রয়ের কাজ শুরু করা হবে বলে তিনি জানান।


   আরও সংবাদ