ঢাকা, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ ভাদ্র ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

শার্শার কন্যাদাহ ক্লিনিকের ডাঃসাইফুল্লাহর বিরুদ্ধে স্বজনপ্রীতির অভিযোগ 


প্রকাশ: ৩০ এপ্রিল, ২০২০ ১৪:০০ অপরাহ্ন


শার্শার কন্যাদাহ ক্লিনিকের ডাঃসাইফুল্লাহর বিরুদ্ধে স্বজনপ্রীতির অভিযোগ 

   

বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি : শার্শার কন্যাদাহ কমিউনিটি ক্লিনিকের ডাক্তার সাইফুল্লাহর নামে স্বজনপ্রীতি, অনিয়ম ও ছুটি না নিয়ে ক্লিনিকে না যাওয়াসহ নানা ধরনের অভিযোগ উঠেছে। 

স্থানীয়রা জানান, সাইফুল্লাহ প্রায় মাঝে মধ্যে ছুটি না নিয়ে বাড়িতে নিজের সাংসারিক কাজে সময় ব্যয় করেন। ক্লিনিকে এসে তাকে না পেয়ে বাড়িতে ডাকতে গেলে খারাপ আচারন করেন। তিনি বলে যান আমি ছুটিতে আছি কেন আমাকে বিরক্ত করছেন। সাধারন গ্রামের চিকিৎসা নিতে আসা রোগিদের তিনি মুল্যায়ন করেন না বলে স্থানীয়দের দাবি।

চিকিৎসা নিতে আসা আবুল কালাম, সখিনা খাতুন, সায়মা বেগম অভিযোগ করে বলেন, আমরা গত বৃহস্পতিবার কন্যাদাহ ক্লিনিকে যেয়ে ডাক্তারকে না পেয়ে, তার বাড়িতে ডাকতে যায়। এসময় ডাক্তার আমাদের সাথে খারাপ আচারন করেন। তিনি বাড়িতে ধান মাড়াইয়ের কাজ করছিলেন। আমাদের বলেন চলে যান আমি এখন যেতে পারব না। আমি ছুটি নিয়েছি। পরে আমরা খোঁজ নিয়ে জানতে পারি তিনি ছুটি নেননি। 

একই গ্রামের একটি সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ডাক্তার সাইফুল্লাহ সময় মত অফিস করেন না।তিনি অফিসে ৯ টার সময় আসার কথা থাকলেও আসেন বেলা ১১ টার সময়। আর ১২ টার সময় বন্ধ করে চলে যান। প্রায়ই এই কমিউনিটি ক্লিনিকে তালা ঝুলানো থাকে। এছাড়া তিনি মানুষকে প্রায়ই বলে আমি ছুটিতে আছি। মানুষের সাথে খারাপ আচারন করেন। তিনি তার পরিচিতি কাছের লোকদের ঔষধ দেন। ঔষধ থাকলেও মাঝে মাঝে অপরিচিত রোগিদের বলেন ঔষধ নেই।

এছাড়া অনেক ভুক্তভোগিরা বলেন তিনি বৃহস্পতিবার ছুটিতে আছেন। তবে বিশেষ সূত্রে জানা গেছে তিনি ছুটি নেন নাই। ভুক্তভোগিরা বাড়িতে ওই ডাক্তারকে ডাকতে গেলে তাকে ধান ঝাঁড়তে দেখেন।

এ ব্যাপারে ডাক্তার সাইফুল্লাহর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমি  হেলথ ইন্সপেক্টর আনিছ এর নিকট থেকে মৌখিক ভাবে  ছুটি নিয়েছি। 

আনিছ ছুটি দিতে পারে কিনা এ বিষয় নাভারন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ফোন করলে ডাক্তার হুমায়রা বিনতে আশরাফি বলেন, আমার জানা নেই। আপনি আমাদের আক্তার মারুফ স্যারের সাথে কথা বলেন। তবে ডাক্তার সাইফুল্লাহকে ৮ বার ফোন দেওয়ার পর তিনি ফোনটি রিসিভ করেন। তিনি ঔষুধ নিয়ে স্বজন প্রীতি করেন এরকম প্রশ্ন করলে তিনি বলেন কিছু নয় ছয় তো করতে হয়। গ্রামের ডাক্তারি করতে গেলে দেখে শুনে চলতে হয়। 

ডাক্তার আক্তার মারুফের নিকট বিষয়টি ফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অনেক সময় আমরা অসুস্থ থাকলে মৌখিক ভাবে ছুটি দিয়ে থাকি। তবে গতকালকের বিষয়টি আমার জানা নেই। আপনি নিউজ করবেন না। আমরা আগামিকাল ওখানে পরিদর্শনে যেয়ে বিষয়টি আপনাকে জানাব। আর আপনি উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডাক্তার ইউসুফ আলীর সাথে কথা বলেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডাঃ ইউসুফ আলী বলেন, এবিষয়ে আমি জানিনা, তবে  খোঁজ নিয়ে দেখবো।


   আরও সংবাদ