প্রকাশ: ১ মে, ২০২০ ১৪:০০ অপরাহ্ন
যশোর থেকে খান সাহেব : যশোরের চৌগাছায় লাইলাতুল জান্নাত (৩৪) নামে দুই সন্তানের জননী বিষপানে আত্মহত্যা করেছে। সে উপজেলার স্বরুপদাহ ইউনিয়নের তিলকপুর গ্রামের এনামুল কবির ইসমাইলের স্ত্রী এবং নড়াইল জেলার মহেশখোলা গ্রামের অ্যাডভোকেট তাইয়েব আলীর কন্যা।
বৃহস্পতিবার ইফতারের পর সে ঘরের দরজা বন্ধ করে বিষ (ঘাস পোড়া কিটনাশক) পান করে। সেই রাতেই তাকে চৌগাছা হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তাকে ওয়াশ করা হয়। পরবর্তীতে তার অবস্থা খারাপ হলে তাকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
শুক্রবার পর্যন্ত সেখানে তার অবস্থার কোন পরিবর্তন না হওয়ায় শুক্রবার রাতেই তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। শুক্রবার রাতে ঢাকা নিয়ে সময় পথিমধ্যে সে মৃত্যুবরণ করে।
এদিকে জান্নাতের পিতা অ্যাডভোকেট তাইয়েব আলী মেয়ের মৃত্যুকে স্বাভাবিক মনে না করে এটিকে হত্যা বলে অভিযোগ করেছেন চৌগাছা থানায়। তিনি বলেন তার মেয়েকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে।
চৌগাছা থানার পুলিশ শনিবার সকালে জান্নাতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়েছে। চৌগাছা থানার ওসি রিফাত খান রাজিব ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন পোস্টমর্টেম রিপোর্টের পর বলা যাবে কিভাবে তার মৃত্যু হয়েছে।
পাবিরবারিক সুত্রে জানাযায় প্রায় ১৫ বছর পূর্বে তাদের বিবাহ হয়। বিবাহের পর থেকেই তাদের দাম্পত্য জীবনে নানা কলোহ কোন্দল লেগে থাকে। তাদের বড় ছেলে ইমরান হোসেন ইশরাকের জন্মের পর জান্নাত পারিবারিক কোন্দলের কারনে বেশ কয়েক বছর নড়াইল গিয়ে অবস্থান করে। সে সময় জান্নাতের পিতা ইসমাইলের নামে ২/৩ টি মামলা দায়ের করেন। ৩/৪ বছর মামলা চলার পর সমঝোতার মাধ্যমে আবার তারা ঘরসংসার শুরু করেন।
গত দুইমাস আগে তাদের আরো একটি ছেলের জন্ম হয়। ইসমাইল হোসেন জানান বৃহস্পতিবার ইফতারের পর আমি তিলকপুর বাজারে যাই। এ সময় আমার স্ত্রী আমার বড় ছেলে ৭ম শ্রেণীর ছাত্র ইশরাকের কোলে ছোট ছেলে ইশানকে (২মাস) দিয়ে তার ঘরের দরজা বন্ধ করে ঘাস পোড়া ঔষধ খায়।
আমার ছেলের কান্নাকাটি ও চেঁচামেছিতে আমার মা বাবা ছুটে এসে ঘরের দরজার সিটকেনি ভেঙ্গে তাকে উদ্ধার করে আমিও সংবাদ পেয়ে বাড়ি এসে তাকে চৌগাছা হাসপাতালে নিয়ে যায়। পারিবারিক কোন্দলের কথা জানতে চাইলে সে বলে ঐদিন কোন গোলমাল হয়নি।
