ঢাকা, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ ভাদ্র ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

ফুচকা চটপটি বিক্রেতাদের পাশে দাড়াতে চায় বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা


প্রকাশ: ২ মে, ২০২০ ১৪:০০ অপরাহ্ন


ফুচকা চটপটি বিক্রেতাদের পাশে দাড়াতে চায় বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা

   

বশেমুরবিপ্রবি থেকে তন্নি : ফুচকা, চটপটি, চায়ের টং-প্রতিটি ক্যাম্পাসের একটি অংশ। নবীন-প্রবীণ সব শিক্ষার্থীর কাছে এই ভ্রাম্যমাণ দোকানগুলোই খোশগল্প বা আড্ডার কেন্দ্রবিন্দু। চায়ের কাপে ঝড়, ফুচকা নিয়ে কাড়াকাড়ি এইগুলা না থাকলে বিশ্ববিদ্যালয় জীবন যেন ষোলকলায় পূর্ণ হয় না।

যারা এই আনন্দের যোগানটুকু করে দেন তাদের জীবিকাই নির্ভর করে ওই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীর উপর। কিন্তু প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলে বন্ধ হয়ে যায় তাদের আয়ের পথও।

অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মতো গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরবিপ্রবি) ক্যাম্পাসে এরকম বেশ কয়েকজন ভ্রাম্যমাণ খাদ্য বিক্রেতা আছেন, ক্যাম্পাসের ভ্রাম্যমাণ দোকান থেকে প্রাপ্ত অর্থের উপরেই নির্ভর যাদের সংসার।

এদিকে বর্তমানে বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাসের  প্রাদুর্ভাবের কারনে প্রায় একমাস যাবত বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকার কারণে খাদ্য বিক্রেতাদের অনেকে-ই আয়ের পথ বন্ধ হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। 

এই দুর্যোগপূর্ণ সময়ে তাদের পাশে দাঁড়ানোর উদ্যোগ গ্রহণ করেছে
বশেমুরবিপ্রবির একদল শিক্ষার্থী। 

উদ্যোগ গ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে একজন আইন বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী হাসান মাহমুদ  জানান, "ক্যাম্পাসে ছোট দোকানগুলো দিয়ে সংসার চালানো ব্যক্তিরা, যাদের আমরা মামা বলে ডাকি, যারা আমাদের দেখলেই একটা হাসি দিয়ে কথা বলে তারা হয়তো এখন ছেলে মেয়ে নিয়ে না খেয়েই দিনাতিপাত করছে। তাই আমরা চাচ্ছি এই দুঃসময়ে তাদের পাশে দাঁড়াতে। কারণ তারাও আমাদের পরিবারের অংশ, তাদের বাদ দিয়ে আমরা ভালো থাকতে পারি না।"

তিনি আরোও জানান, বিশ্বববিদ্যালয়ে এমন প্রায় ১৫ জন খাদ্য বিক্রেতা রয়েছে। আাপাতত তারা প্রত্যেককে ২ হাজার টাকা করে আর্থিক সহযোগিতা করার পরিকল্পনা করেছেন। ইতোমধ্যে এই লক্ষ্যে তারা ফান্ড গঠনের কার্যক্রম শুরু করেছেন এবং বেশ ভালো সাড়া পাচ্ছেন বলেও জানান তিনি।

এই দুঃসময়ে আপনাদের সাহায্যই পারে তাদের মুখে হাসি ফোটাতে। ফুচকা-চটপটি বিক্রেতাদের সহযোগিতা ফান্ডে অর্থপ্রদানের ঠিকানা-
০১৭২৫৫৯১৮২৬ (বিকাশ) ও ০১৫২১৪১০৮৪৩৬ (রকেট)।


   আরও সংবাদ