ঢাকা, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ ভাদ্র ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

অপরিপক্ব অনলাইন পাঠদান পুনর্বিবেচনার দাবি ইবি ছাত্র মৈত্রীর


প্রকাশ: ৭ মে, ২০২০ ১৪:০০ অপরাহ্ন


অপরিপক্ব অনলাইন পাঠদান পুনর্বিবেচনার দাবি ইবি ছাত্র মৈত্রীর

   

ইবি থেকে শাহীন : অনলাইন ক্লাস নামক অপরিপক্ব পদ্ধতিতে পাঠদানের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রী ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা।

শুক্রবার (৮ মে) বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রী, ইবি শাখার নেতৃবৃন্দ এ বিষয়ে একটি যৌথ সংবাদ বিবৃতি দিয়েছেন। এতে তারা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এমন অনাকাঙ্ক্ষিত সিদ্ধান্তে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, বর্তমান প্রশাসন শিক্ষার্থীদের স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহণ ও বাস্তবায়নের ফলে শিক্ষার্থীবান্ধব প্রশাসন হিসেবে পরিচিত পেয়েছে এবং শিক্ষার্থীদের ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি সেশনজট নিরসনের নামে অনলাইন ক্লাস পদ্ধতির যে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে তা ইবি শিক্ষার্থীদের মর্মাহত করেছে। 

অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো ইবি'র অধিকাংশ শিক্ষার্থী গ্রামীণ অঞ্চলে বসবাস করে। প্রত্যন্ত অঞ্চলে ইন্টারনেটের ধীর গতির জন্য অনলাইনে জরুরী কার্যক্রম সম্পাদন করা দুষ্কর হয়ে উঠে। 

এমতাবস্থায় অনলাইন ক্লাস চালু হলে মন্থর গতির ইন্টারনেটে সংশ্লিষ্ট কোর্সে অস্পষ্ট ধারণা সৃষ্টি হবে। আধো-আধো জ্ঞান নিয়েই সমাপ্ত হবে একেকটি কোর্স। ফলে দেশ পাবে অপরিপক্ক গ্রাজুয়েট।

নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, ইবি'র বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী আগামী ৬ জুন পর্যন্ত পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। তবু শিক্ষার্থীমত উপেক্ষা করে অনলাইন ক্লাসের সিদ্ধান্ত শিক্ষার্থীদের ভাবিয়ে তুলেছে। 

শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি বিবেচনা করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় এমন খোঁড়া পদ্ধতির পাঠদান কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এমতাবস্থায় অনলাইন ক্লাস পদ্ধতির সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে প্রশাসনের প্রতি নেতৃবৃন্দ আহ্বান জানান।

উল্লেখ্য, বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাসের বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশের মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা বাধাগ্রস্থ। এমতাবস্থায় সেশনজট নিরসনে উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন উর-রশিদ আসকারীর নির্দেশে ইবি প্রশাসন অনলাইনে ক্লাস কার্যক্রম পরিচালনার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। গত ৬ মে উপাচার্যের অনলাইন ক্লাসের আহ্বান শীর্ষক একটি ভিডিও বার্তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার হলে এ নিয়ে শিক্ষার্থীরা নানা শঙ্কার কথা প্রকাশ করে।


   আরও সংবাদ