ঢাকা, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ ভাদ্র ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

বাঁধ প্রকল্পের পাশাপাশি বৃক্ষরোপনের কোন বিকল্প নেই : প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক


প্রকাশ: ২৮ মে, ২০২০ ১৪:০০ অপরাহ্ন


বাঁধ প্রকল্পের পাশাপাশি বৃক্ষরোপনের কোন বিকল্প নেই : প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক

   

স্টাফ রিপোর্টার : বাঁধ প্রকল্পের পাশাপাশি বৃক্ষরোপনের কোন বিকল্প নেই। আমি কয়রা, শ্যামনগর, আশাশুনি ঘুরে দেখেছি যেখানে গাছ ছিলো সেখানে ভাঙ্গন হয় নাই, হলেও খুবই কম। যেহেতু বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ, তাই পুরো দেশবাসীর কাছে অনুরোধ করবো আপনারা নদী ও খালের পাড়ে গাছ লাগান, ঘর-বাড়ি সংরক্ষিত হবে।

আজ শুক্রবার (২৯ মে) খুলনা জেলার দাকোপ ও পাইকগাছা উপজেলার বটবুনিয়া, কামিনিবাসী, ঝালবুনিয়া, শোলাদানা বাজার, গরইখালী বাজার,কুমখালী, পাটকেলপোতা ও দেলুটি ইউনিয়নের কালীনগরের ঘূর্ণিঝড় আম্পানে ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ এলাকা স্পিডবোটযোগে পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন।

খুলনার দাকোপ উপজেলার জন্য ১২শো কোটি টাকার নতুন প্রকল্পের কথা জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়নে জমি অধিগ্রহণ দরকার তবে এতে মানুষ বিমুখ হয়ে যায়। কিন্তু একমাত্র শেখ হাসিনার সরকার জমির বাজারমূল্যের তিনগুণ বেশি দাম দেয়। প্রকল্প পাশের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হলে আমরা দ্রুততম সময়ে কাজ শুরু করবো।

তিনি আরো বলেন, চিংড়ির ঘেরের জন্য বাঁধ স্থায়ী হয় না। তাই বাঁধ থেকে কমপক্ষে ১০০ মি. দূরে চিংড়ি ঘের করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী "মানবতার নেত্রী" বলেই জনদুর্ভোগ কমাতে বাঁধ একবার করার পরেও আবার বাঁধ করে দেন।

উল্লেখ্য, এর আগে গত ২৮ ও ২৭মে পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া, সাতক্ষীরার শ্যামনগর, আশাশুনি উপজেলার এবং খুলনার কয়রা উপজেলার আম্পানে ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন।

প্রসঙ্গত, গত ২০ মে আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড় আম্পানে উপকূলাঞ্চল সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। শুধুমাত্র খুলনার দাকোপ উপজেলায় প্রায় ১২ কি.মি. বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। গত ২২মে উপকূলীয় এলাকার ক্ষয়ক্ষতি হেলিকপ্টারযোগে পরিদর্শন করেন পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম। আম্পান আঘাতের পূর্বে উপমন্ত্রী শামীম সাধারণ ছুটির মধ্যেও ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার বাঁধ নির্মাণ কাজ অব্যাহত রাখার নির্দেশনা দেন।

তাছাড়া, গত ২২ও ২৩ মে খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট এলাকার ক্ষয়ক্ষতির পর্যবেক্ষণ করেন পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব কবির বিন আনোয়ার। পর্যবেক্ষণ শেষে গত ২৪ মে ঘূর্ণিঝড় আম্পান পরবর্তী ক্ষয়ক্ষতি নির্ধারণ ও পুণর্বাসন বিষয়ক সভা করেছে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়।

এসময় খুলনা -৬ সংসদ সদস্য জনাব আলহাজ্ব আক্তারুজ্জামান বাবু, খুলনা-১ সংসদ সদস্য ও হুইপ জনাব পঞ্চানন বিশ্বাস, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (বাপাউবো) হাবীবুর রহমান, অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মাহমুদুল ইসলাম, উপ-সচিব নুর আলম, খুলনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জিয়াউর রহমান, প্রধান প্রকৌশলী (খুলনা) রফিক উল্লাহ, খুলনার নির্বাহী প্রকৌশলী (পওর-২) পলাশ ব্যানার্জী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। 


   আরও সংবাদ