প্রকাশ: ৮ জুন, ২০২০ ১৪:০০ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : ফায়ার সার্ভিসের ১১ কর্মকর্তাসহ ১৪১ জন করোনায় আক্রান্ত, সুস্থ ৫৪ জন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মোট ১৪১ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (৯ জুন) বিকালে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অফিস থেকে পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য জানান হয়।
এদের মধ্যে ২ জন কর্মকর্তাসহ ৫৪ জন সুস্থ হয়েছেন। ৮ জনকে হোম কোয়ারেনটাইনে বাকি ৭৮ জনকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেনটাইনে রাখা হয়েছে এবং ১ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আক্রান্তদের মধ্যে ৫৪ জন আইসোলেশনে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে নিজ নিজ কর্মস্থলে যোগদান করেছেন।
করোনা আক্রান্তদের মধ্যে ১৮ জন সদর দপ্তর সিদ্দিকবাজার ফায়ার স্টেশনের, ১৯ জন তেজগাঁও ফায়ার স্টেশনের, ১৯ জন অধিদপ্তরের বিভিন্ন শাখার, ৯ জন সদরঘাট ফায়ার স্টেশনের, ১২ জন হাজারীবাগ ফায়ার স্টেশনের, ৮ জন ঢাকা কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষের, ১২ জন ডি.ই.পি.জেট ফায়ার স্টেশনের (সাভার), ৮ জন সাভার ফায়ার স্টেশনের, ১ জন লালবাগ ফায়ার স্টেশনের, ১ জন মোহাম্মদপুর ফায়ার স্টেশনের, ২ জন মানিকগঞ্জ ফায়ার স্টেশনের, ৪ জন চট্টগ্রাম লামার ফায়ার স্টেশনের, ৩ জন ডেমরা ফায়ার স্টেশনের, ৪ জন খিলগাঁও ফায়ার
স্টেশনের, ৫ জন মুন্সিগঞ্জ ফায়ার স্টেশনের, ১ জন পলাশী ফায়ার স্টেশনের, ৫ জন সিলেট ফায়ার স্টেশনের, ১ জন বড়লেখা ও ১ জন কুলাউড়া ফায়ার স্টেশনের (সিলেট), ১ জন টাঙ্গাইল ফায়ার স্টেশনের, ১ জন সালতা ফায়ার স্টেশনের (ফরিদপুর), ১ জন ক্সসয়দপুর ফায়ার স্টেশনের (নীলফামারী), ৩ জন বারিধারা ফায়ার স্টেশনের এবং ২ জন পোস্তগোলা ফায়ার স্টেশনের কর্মী।
আক্রান্তদের পূর্বাচল মাল্টিপারপাস ফায়ার সার্ভিস সেন্টার ও রূপগঞ্জের ইউসুফগঞ্জ স্কুল (নারায়ণগঞ্জ) সহ বিভিন্ন স্থানে কোয়ারেনটাইনে রাখা হয়েছে একজন ক্সসয়দপুর হাসপাতালে ১ জন চিকিৎসাধীন আছেন।
করোনা আক্রান্তদের সকলেই ভালো আছেন। এদের মধ্যে ৫৪ জনের পর পর দুইবার নমুনা পরীক্ষায় নেগেটিভ হওয়ায় তাদের সুস্থ ঘোষণা করা হয়েছে।
সদরঘাট ফায়ার স্টেশনের ৯ জনের মধ্যে ৯ জনই সুস্থ এবং অন্য সুস্থরা হলেন ৫ জন অধিদপ্তরের, ১২ জন সিদ্দিকবাজার ফায়ার স্টেশনের, ৬ জন কন্টোল রুমের, ১৪ জন তেজগাঁও স্টেশনের, ৩ জন হাজারীবাগ ফায়ার স্টেশনের, ১ জন মোহাম্মদপুর ফায়ার স্টেশনের, ২ জন ডি.ই.পি.জেড ফায়ার স্টেশনের (সাভার) ও পোস্তগোলা ফায়ার স্টেশনের ২ জন।
আক্রান্ত অন্যদের ওপর নিবিড়ভাবে নজর রাখা হচ্ছে এবং স্বাস্থ্যের উন্নতি না হলে বা অবনতি হলে প্রয়োজনে তাদের আইসোলেশনে রাখা হবে বা হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা করা হয়েছে।