ঢাকা, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ ভাদ্র ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

এনজিও'র কিস্তির চাপে দিশেহারা সাধারণ মানুষ


প্রকাশ: ৯ জুন, ২০২০ ১৪:০০ অপরাহ্ন


এনজিও'র কিস্তির চাপে দিশেহারা সাধারণ মানুষ

   

বোরহানউদ্দিন (ভোলা) প্রতিনিধি : লকডাউন শিথিলের পরপরই করোনা ভাইরাসের মতো এনজিও ঋঁণের কিস্তির চাপে ভোলা বোরহানউদ্দিনের সাধারণ মানুষ এখন দিশেহারা। করোনার কারণে লকডাউনে সকল কর্মকান্ড বন্ধ হয়ে যাওয়ায় শ্রমজীবী বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ঘরবন্দী হয়ে দীর্ঘদিন থাকায় অনেকেই অর্ধাহারে অনাহারে দিনাতিপাত করেছেন। 

এছাড়া মাঝপথে ঘূর্ণিঝড় আম্পানের কারণে কৃষিজীবী মানুষদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। ভোলা উপকূলীয় জেলা হওয়ায় লোকসানের পরিমানটা বাংলাদেশের অন্য যেকোন জেলার চেয়ে বেশি।

লকডাউন শিথিলের ঘোষণার পর থেকেই এনজিও কর্মীরা বোরহানউদ্দিনে ঋণ নেওয়া মানুষের কিস্তি দেয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ শুরু করে দিয়েছে। সকাল বিকাল তাগাদা দিয়ে মানুষগুলিকে বিষিয়ে তুলছে। 

অবশ্য এসব ঝামেলা একসময় নিজেদের প্রয়োজনে নিজেরাই দাওয়াত দিয়ে এনেছিল। তাদের ছোবল যে কতো বিষাক্ত তা এখন সবাই হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে।

এসব এনজিও যেকোন জেলায় জেলা প্রশাসকের আওতায় থেকেই কাজ করে, এদের দেখভাল যেকোন সুযোগ সুবিধা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকেই মনিটর করা হয়। রাজশাহীর সুযোগ্য জেলা প্রশাসক ইতিমধ্যেই একটি পরিপত্র জারী করে আগামী জুলাইর ৩০ তারিখ পর্যন্ত ঋণের কিস্তি আদায় বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন। 

আমাদের উপকূলবাসী যেহেতু করোনা ও ঘূর্ণিঝড় আম্পানে অধিক মাত্রায় ক্ষতিগ্রস্ত  তাই ভোলার সুযোগ্য জেলা প্রশাসকের কাছে গত বছর ডিসেম্বরের ৩০ পর্যন্ত কিস্তি নেওয়া বন্ধ করার জন্য একটি পরিপত্র জারীর আবেদন জানায় ভোলা বোরহানউদ্দিনের বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার ঋণগ্রস্ত অসহায় মানুষরা।


   আরও সংবাদ