ঢাকা, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ ভাদ্র ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে র‌্যাবের অভিযান, ৩ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা


প্রকাশ: ২৭ জুন, ২০২০ ১৪:০০ অপরাহ্ন


ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে র‌্যাবের অভিযান, ৩ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা

   

স্টাফ রিপোর্টার : বৈশ্বিক মহামারি করোনাকালেও থেমে নেই জালিয়াত চক্রের দৌরাত্ব। এবার খোদ রাজধানীর সুপরিচিত মতিঝিল ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে ভুয়া চিকিৎসকের সন্ধান পেয়েছে পুলিশের এলিট ফোর্স র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। 

আজ রোববার (২৮ জুন) দুপুর সোয়া ১২টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত হাসপাতালটিতে ভুয়া চিকিৎসকের তৎপরতা এবং হাসপাতালে নানা অনিয়মের বিরুদ্ধে অভিযান করে র‌্যাব-৩-এর একটি দল। ভ্রাম্যমাণ আদালতে নেতৃত্ব দেন র‌্যাব সদরদপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট পলাশ কুমার বসু।

তিনি বলেন, ‘করোনাকালীন সময়ে হাসপাতালগুলোতে বিভিন্ন অনিয়মের খবর পাওয়া যাচ্ছে। সবার জীবন যখন এমনিতেই ঝুকির মুখে। এ অবস্থায় ভূয়া চিকিৎসকের অপতৎপরতা নজরদারি করছে গোয়েন্দা সদস্যরা। 

ভুয়া চিকিৎসক থাকাসহ বেশ কিছু অভিযোগের ভিত্তিতে মতিঝিলের ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে অভিযান পরিচালনা কর হলো। অভিযানে একজন ভূয়া চিকিৎসককে গ্রেফতার করা হয়েছে। ভূয়া চিকিৎসক মিজানুর রহমানকে ২ বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও হাসপাতালটির ফার্মেসিতে অনুমোদনহীন ওষুধ থাকায় দুজনকে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি দেওয়া হয়েছে।

নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট পলাশ কুমার বসু জানায়, মতিঝিল ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের মিজানুর রহমান (৫০) নামে একজন ডাক্তার ১২ বছর ধরে চিকিৎসা দিয়ে আসছেন। তিনি ইউনানির সাময়িক অনুমোদন নিয়েই দিয়ে আসছিলেন এ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসা। কিন্তু ইউনানি নীতিমালা অনুযায়ী এটা করা যায় না। 

এছাড়াও তিনি প্রেসকিপশনে নিজেকে ডাক্তার হিসেবে উল্লেখ করে আসছিলেন। শুধু তাই নয় হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ, এমপিল ড্রিগ্রির বিষয়ও তুলে ধরছিলেন। ইউনানি চিকিৎসক হয়েও এ্যালোপ্যাথিক ওষুধ ও বিভিন্ন রোগের জন্য পরীক্ষা দিয়ে আসছিলেন। পরে তাকে দুই বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেওয়া হয়।

এসময় হাসপাতালের এ্যাসিসটেন্ট সুপারভাইজার হাসিনুর রহমানকে সাড়ে ৪ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ত দেওয়া হয়েছে।


এছাড়াও ইসালামী ব্যাংক হাসপাতালের ফার্মেসিতে অপারেশন থিয়েটারে ব্যবহৃত ইনজেকশন (টিএআর) সার্জিক্যাল আইটেম এবং ওষুধ রাখার দায়ে  শফিউল ইসলাম ও  আব্দুল জলিল নামে দুজনের প্রত্যেককে ৫ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে তিন মাসের বিনাশ্রম জেল দেওয়া হয়েছে।

এদিকে মতিঝিল ইসালামী ব্যাংক হাসপাতালের এ্যাসিসটেন্ট সুপারভাইজার হাসিনুর রহমান বলেন, আমরা হেড অফিসে জানিয়েছি। তবে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত জানা যায় নি। আর হাসপাতাল থেকে অর্থদণ্ড বহন করলে আমাদের ছেড়ে দেয়া হবে। না হলে কারাগারে পাঠানো হবে।


   আরও সংবাদ