ঢাকা, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ ভাদ্র ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

য‌শো‌রে গৃহবধু ধর্ষ‌ণের ঘটনায় মামলা, গ্রেফতার তিন


প্রকাশ: ৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ১৪:০০ অপরাহ্ন


য‌শো‌রে গৃহবধু ধর্ষ‌ণের ঘটনায় মামলা, গ্রেফতার তিন

   

য‌শোর প্র‌তি‌নি‌ধি : যশোরের শার্শায় গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় তিন জনের নাম উল্লেখ ও একজনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা দা‌য়ের করা হয়েছে। এ পর্যন্ত তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। 

তবে ধর্ষণের ঘটনায় যাকে ‘প্রধান অভিযুক্ত’ হিসেবে ওই নারী দাবি করেছিলেন সেই এসআই খায়রুলকেই আসামি করা হয়নি। এ ঘটনায় তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।


যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সালাহউদ্দিন শিকদার বলেন, ‘মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাতে শার্শার চটকাপোতা এলাকার কামরুজ্জামান ওরফে কামরুল, লক্ষ্মণপুর এলাকার আব্দুল লতিফ এবং আব্দুল কাদেরকে গ্রেফতার করা হ‌য়ে‌ছে। তাদের আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড চাওয়া হবে। আর অজ্ঞাত আসামিকে গ্রেফতারে পুলিশ সচেষ্ট রয়েছে। অজ্ঞাত আসামি সে যেই হোক না কেন- তাকে কোনও ছাড় দেওয়া হবে না।’

প্রধান অভিযুক্ত গোড়পাড়া পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই খায়রুলের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়নি কেন— এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ভিকটিমের সামনে গত রাতে এসআই খায়রুলকে কয়েক দফা আনা হয়। কিন্তু তিনি খায়রুলকে অভিযুক্ত হিসেবে চিহ্নিত করেননি।’

ভিকটিম ভয়ে প্রধান অভিযুক্তের নাম বলতে পারছেন না কিংবা তাকে চাপ দেওয়া হয়েছে কিনা— এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘তাকে কোনও প্রকার ভয়ভীতি দেখানো হয়নি। তাছাড়া মঙ্গলবার রাতে যখন তাকে অভিযুক্তের সামনে আনা হয়, তখন তার চোখেমুখে কোনও আতঙ্ক বা ভয়ভীতি ছিল না।’

ঘটনার সঙ্গে জড়িত নন কিন্তু এসআই খায়রুলকে কেন প্রত্যাহার করা হয়েছে— জানতে চাইলে এডিশনাল এসপি সালাহউদ্দিন শিকদার বলেন, ‘যেহেতু এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং তদন্তে যেন নেতিবাচক প্রভাব না পড়ে সেকারণে তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তিনি দোষী, সে কারণে প্রত্যাহার হয়েছে এমনটি নয়।

তাছাড়া যেহেতু তার নামে অভিযোগ করা হয়েছে, তাই কর্মস্থলে তিনি কাজ করতে অস্বস্তি বোধ করতে পারেন।’ ঘটনা তদন্তে এডিশনাল এসপি সালাহউদ্দিন শিকদারকে প্রধান করে তিন সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি আগামী তিনদিনের মধ্যে তাদের তদন্ত রিপোর্ট পেশ করবে বলে জানানো হয়েছে।

উ‌ল্লেখ্য শার্শা উপজেলার লক্ষ্মণপুর এলাকায় ওই গৃহবধূর বাড়িতে ২ সেপ্টেম্বর রাতে গিয়ে তার ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন গোড়পাড়া ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই খায়রুল ও তার সোর্স। টাকা না দিলে তার স্বামীর বিরুদ্ধে ৫৪ ধারার মামলা করার হুমকি দেন। এ নিয়ে তার সঙ্গে ঝগড়াও হয়। একপর্যায়ে খায়রুল ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। এরপর তিনি ও কামরুল ওই নারীকে ধর্ষণ করে। ৩ সেপ্টেম্বর সকালে ওই নারী যশোর জেনারেল হাসপাতালে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্যে এলে বিষয়টি জানাজা‌নি হয়ে যায়।


   আরও সংবাদ