ঢাকা, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ ভাদ্র ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

মতিঝিলে ছিনতাই করে পালানোর সময় এক পুলিশসহ আটক ২


প্রকাশ: ৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ১৪:০০ অপরাহ্ন


মতিঝিলে ছিনতাই করে পালানোর সময় এক পুলিশসহ আটক ২

   

স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানীর মতিঝিলে পুলিশ পরিচয়ে ১০ লাখ টাকা ছিনতাই করে পালানোর সময় দুজনকে ধরে  মারধর দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে পথচারীরা। আটককৃতদের একজন বংশাল থানার পুলিশ কনস্টেবল মামুন বলে নিশ্চিত করেছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুলিশের একজন ঊর্ধতন কর্মকর্তা। অপরজন তার সহকারী।

বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিকেল এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। এসময় ওই ‍দুই ছিনকারীর আঘাতে আহত হন ইলেকট্রনিক্স পণ্য ব্যবসায়ী আবুল কালাম আজাদ।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী, মতিঝিলের ব্যবসায়ী রকিবুল হাসান বলেন, পুলিশ পরিচয়ে ১০ লাখ টাকা ছিনতাই করে পালানোর সময় দুজনকে ধরে পুলিশে দিয়েছে জনতা। তারা নিজেদের পুলিশ সদস্য দাবি করলেও কোনো পরিচয়পত্র দেখাতে পারেনি। ছিনতাইয়ের সময় তাদের সঙ্গে থাকা মোটর সাইকেলটিও জব্দ করেছে পুলিশ। জব্দ হওয়া মোটরসাইকেলটির (ঢাকা মেট্টো ল ২৪-৩৬৯৯) সামনে পুলিশ লেখা রয়েছে।

মতিঝিল থানার এসআই এরশাদ হোসেন বলেন, ছিনতাইয়ের অভিযোগে দুজনকে থানা হাজতে রাখা হয়েছে। আসলেই কি ঘটেছিল তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। যার টাকা ছিনতাই করা হচ্ছিল তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ছিনতাইকারীদের কবলে পড়া আবুল কালাম আজাদ জানান, তিনি পল্টন এলাকার  ‘শখ’ ইলেকট্রনিক্সের মালিক। তিনি বলেন, আমার এক ব্যবসায়ী পাঠি এই টাকা দিয়ে যায়। হঠাৎ রাস্তায় দুজন এসে তার সামনে দাঁড়ায়। এসময় মামুন ও জিতু নামের ওই দুইজন নিজেদের পুলিশ সদস্য বলে পরিচয় দিয়ে তাকে মোটর সাইকেলে বসতে বলেন। কিন্তু  আবুল কালাম এতে রাজি না হলে মামুন হাতকড়া দিয়ে ও জিতু হেলমেট দিয়ে তার মাথায় আঘাত করেন।

আবুল কালাম বলেন, তাদের আঘাতে আমার মাথা ফেটে রক্ত বের হলে আমি রাস্তায় পড়ে যায়। তখন টাকার ব্যাগ নিয়ে মোটরসাইকেল নিয়ে মামুন ও জিতু পালানোর চেষ্টা করলে জনতা তাদের ধাওয়া দিয়ে ধরে ফেলে। তখনও তারা নিজেদের পুলিশের লোক বলে পরিচয় দেয়। পরে থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে তাদের আটক করে।

এ বিষয়ে মতিঝিল থানা তদন্ত কর্মকর্তা বলেন তাদের বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে। আর এই ঘটনায় আটককৃতদের নামে দু'টি মামলা হবে একটি ছিনতাই আরেকটি অপহরণ।


   আরও সংবাদ