ঢাকা, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ ভাদ্র ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

আশুরায় নাশকতায় আনসারুল্লাহ’র তিন সদস্য রিমান্ডে


প্রকাশ: ৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ১৪:০০ অপরাহ্ন


আশুরায় নাশকতায় আনসারুল্লাহ’র তিন সদস্য রিমান্ডে

   

রাজধানীর উত্তরা এলাকা থেকে গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় গ্রেফতার আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের তিন সদস্যকে তিন দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। গোপন সংবাদ পেয়ে অ্যান্টি টেরোরিজম (এটিইউ) ইউনিটের সদস্যরা সোমবার এই তিন জঙ্গিকে গ্রেফতার করে। এদিন রাতে তাদের বিরুদ্ধে এটিইউ’র ইন্সপেক্টর হারুনুর রশিদ বাদী হয়ে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা দায়ের করেন।

এটিইউ’র দায়ের করা এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে উত্তরা পশ্চিম থানার এসআই আমিনুল ইসলামকে। দায়িত্ব পাওয়ার পর তদন্ত কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম গ্রেফতার তিন জঙ্গির ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আজ মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা মহানগর হাকিম বেগম ইয়াসমিন আরার আদালতে হাজির করান। শুনানি শেষে আদালত তাদের প্রত্যেককে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিটের জনসংযোগ শাখার পুলিশ সুপার মো. মাহিদুজ্জামান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে রাজধানীর উত্তরার সাত নম্বর সেক্টরের বাস কাউন্টারের সামনে থেকে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের তিনজন সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়।  গ্রেফতার তিন জঙ্গি হলো—  রাসেল হোসেন (২১), জুয়েল মাহমুদ ওরফে ইমাম মাহমুদ (২৬) ও আবু জাফর সোহেল (৩৬)।

গ্রেফতার রাসেল হোসেন রাজশাহী ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ারিং টেকনোলজির ছাত্র। তার বাড়ি পাবনায়। জুয়েলের বাড়ি নাটোরে আর সোহেলের বাড়ি রাজধানীর সিপাহীবাগে। গ্রেফতারের সময় তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন বই, ছয়টি মোবাইল ফোন সেট, বিভিন্ন অপারেটর কোম্পানির সিমকার্ড ও ব্যাংকের এটিএম কার্ড জব্দ করা হয়।

গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়— এবিটির এসব সদস্য ইমাম মাহমুদের অনুসারী ও ‘ইমাম মাহমুদ ও গাজোয়াতুল হিন্দ’ নামের একটি ক্লোজড গ্রুপেরও সক্রিয় সদস্য তারা। এ গ্রুপের মাধ্যমে তারা গাজওয়াতুল হিন্দ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে দীর্ঘদিন যাবত তহবিল সংগ্রহ করছে। রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্র করে রক্তক্ষয়ী সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে বাংলাদেশে খেলাফত প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে তারা বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল। পবিত্র আশুরা উপলক্ষে নাশকতামূলক কাজের মাধ্যমে জনমনে ত্রাস ও আতঙ্ক সৃষ্টির জন্য হত্যা পরিকল্পনা, প্রশিক্ষণ ও প্রস্তুতির অগ্রগতি আলোচনার জন্য তারা উত্তরায় একত্রিত হয়েছিল।

সন্ত্রাসী কাজে অর্থায়ন সংক্রান্ত অপরাধ, নিষিদ্ধ সংগঠনকে সমর্থন, নাশকতার ষড়যন্ত্রসহ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে প্ররোচিত করার অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে উত্তরা পশ্চিম থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা (নম্বর ২৪,৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯) দায়ের করা হয়।


   আরও সংবাদ