প্রকাশ: ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ১৪:০০ অপরাহ্ন
রহিদুল ইসলাম খান : যশোরের চৌগাছা উপজেলার ১১টি ইউনিয়নে ১৭ হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে আমন চাষ করেছে কৃষকরা। চৌগাছা কৃষি অফিস সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বিগত বোরো মওসুমে ধানের আবাদে ব্যাপক লোকসান হওয়ার পরও কোনও উপায় না পেয়ে আবারো ধান চাষ করছে কৃষকেরা।
চৌগাছা কৃষি অফিসের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম জানান, এ উপজেলার অনেক জমি আছে যেখানে ধান ছাড়া অন্য কোন আবাদ হয় না। সে কারণে ইচ্ছায় হোক আর অনিচ্ছায় হোক কৃষককে ধান চাষ করতে হয়।
উপজেলার সিংহঝুলি গ্রামের সামছুল হক খান, সাবের আলি সরদার, হাফিজুর রহমান খান, সাগর খান, মফিজুর রহমান কটাসহ আরো অনেক কৃষকেরা বলেন, চলতি মওসুমে ধান চাষের জমির লিজ অর্ধেকে নেমে এসেছে। গত বোরো মওসুমে ৩৩ শতক জমি লিজ দিয়ে পাওয়া গিয়েছিল ৬ হাজার টাকা সেখানে চলতি আমন মওসুমে ৩৩ শতক জমি লিজ দিয়ে পাওয়া যাচ্ছে সাড়ে তিন থেকে চার হাজার টাকা।
উপজেলার বড় ধান চাষী হুদাফতেপুর গ্রামের মাওলানা আলী আকবর বলেন, বোরো মওসুমের ধান সব গোলা ভরা রয়েছে এরপর আমন ধান উঠলে ধান বিক্রির জন্য ফেরি করে বেড়ানো ছাড়া কোন উপায় থাকবে না।
এদিকে বেশ কয়েকজন কৃষক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সরকার যা কিছু ধান ক্রয় করে তাও আমরা বিক্রি করতে পারি না, বেশিরভাগ ব্যবসায়ী অথবা রাজনৈতিক ব্যাক্তিরা বিক্রি করে থাকে। ধানের মূল্য কম তারপরও ধান চাষ করছেন কেন? জানতে চাইলে উপজেলার মাজালী গ্রামের শহিদুল ইসলাম, কয়ারপাড়া গ্রামের ইউনুচ আলী, জামলতা গ্রামের রবিউল ইসলামসহ আরো অনেকে বলেন, চাষাবাদ করা আমাদের পেশা এছাড়া আমাদের তো কোন উপায় নেই। প্রতিবার লোকসান হওয়া সত্তেও আমারা সেই চাষাবাদ নিয়ে পড়ে থাকি কেননা আমরা তো নিরুপায়।