প্রকাশ: ২৭ নভেম্বর, ২০১৯ ১৩:০০ অপরাহ্ন
বুধবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন ডা. মো. শাহ আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, সম্প্রতি মা ও নবজাতকের স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ক একটি সভায় বেশ কিছু সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। ওই সভায় সর্বসম্মতিক্রমে আল্ট্রাসনোগ্রাফি করে শিশুর লিঙ্গ বলা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এখন থেকে কোনো হাসপাতালে আল্ট্রাসনোগ্রাফির মাধ্যমে শিশুর লিঙ্গ বলা যাবে না। এজন্য চিকিৎসকসহ জেলার সব হাসপাতালে চিঠি দেয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ২৪ নভেম্বর জেলা সদর হাসপাতালে জন্ম নেয়া নবজাতক ঘিরে ধূম্রজাল তৈরি হয়। ওই দিন দুপুরে হাসপাতালে সিজারিয়ান অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার মোহনপুর এলাকার শারমীন আক্তার ও সুহিলপুর এলাকার তামান্না আক্তার ছেলে এবং পৌর শহরের পাইকপাড়া এলাকার দিপ্তী রাণী দাস মেয়ে শিশুর জন্ম দেন।
পরে শারমীন ও তামান্নার কোলে দুই ছেলে শিশু এবং দিপ্তির কোলে এক মেয়ে শিশু তুলে দেন চিকিৎসক। কিন্তু বিপত্তি বাধে দিপ্তির ছেলেসন্তান দাবি করা নিয়ে। দিপ্তি মেয়েশিশু তার নয় জানিয়ে তামান্নার কোলে তুলে দেয়া ছেলেশিশুকে তার বলে দাবি করেন।
এর কারণ হিসেবে দিপ্তি জানান, একাধিকবার আল্ট্রাসনোগ্রাফি করে তার গর্ভে ছেলে শিশু রয়েছে বলে চিকিৎসকরা তাকে জানিয়েছিলেন।