ঢাকা, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ ভাদ্র ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

ব্রাসিলিয়াস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে স্বাধীনতা দিবস পালন


প্রকাশ: ২৬ মার্চ, ২০২০ ১৪:০০ অপরাহ্ন


ব্রাসিলিয়াস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে স্বাধীনতা দিবস পালন

   

কূটনৈতিক প্রতিবেদক : ব্রাসিলিয়াস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস যথাযথ মর্যাদায় ভাবগাম্ভীর্য ও প্রাণবন্ত পরিবেশে সীমিত পরিসরে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন করে। সাড়ম্বরে বিশাল পরিসরে জাতীয় দিবস উদযাপনের প্রস্তুতি থাকা সত্ত্বেও বিশ্বব্যাপী বিরাজমান করোনা ভাইরাস (COVID-19) পরিস্থিতি বিবেচনায় সেগুলো স্থগিত করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৬ মার্চ) সকাল দশটায় জাতীয় সঙ্গীতের সাথে রাষ্ট্রদূত কর্তৃক জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে শুরু হয়।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ মুক্তিযুদ্ধে আত্মত্যাগকারী সকল শহীদ এবং সম্ভ্রমহারা মা-বোনদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। 

দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়। এরপর বঙ্গবন্ধুসহ মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদ, ১৫ আগষ্টে নির্মম হত্যাকান্ডে নিহত বঙ্গবন্ধু পরিবারের সকল শহীদ, মহান ভাষা আন্দোলনসহ গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে আত্মত্যাগকারী সকলের আত্মার মাগফেরাত এবং বাংলাদেশের ক্রমঅগ্রসরমান আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের অব্যাহত অগ্রযাত্রা কামনা করে এবং বিদ্যমান করোনা ভাইরাস সৃষ্ট পরিস্থিতি থেকে বাংলাদেশসহ পুরো পৃথিবীর মানুষকে রক্ষার আহবান জানিয়ে বিশেষ প্রার্থনা করা হয়|  

দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে অনুষ্ঠিত আলোচনা পর্বে দূতাবাসের কর্মকর্তাগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন। 

বক্তারা মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রেক্ষাপট বর্ণনা করে একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ উপহার দেবার জন্য বঙ্গবন্ধুকে কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করেন| আলোচনা পর্বে রাষ্ট্রদূত জুলফিকার রহমানও তাঁর বক্তব্যের শুরুতে বঙ্গবন্ধুর জীবনীর উপর আলোকপাত করে স্বাধীনতা অর্জনে তাঁর অবিস্মরণীয় অবদান স্মরণ করেন।

তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধের সময়ের কথা স্মৃতিচারণ করেন। মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহাসিক পটভূমি বিশ্লেষণ করে তিনি বলেন যে, বঙ্গবন্ধু ১৯৪৮ সালেই বুঝতে পেরেছিলেন যে পাকিস্তান রাষ্ট্র বাঙ্গালীর আশা আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন করতে পারবে না। বরং তিনি উপলব্ধি করেছিলেন যে, আমরা ব্রিটিশদের পরাধীনতা থকে পাকিস্তানীদের পরাধীনতায় এসেছি। 

তখন থেকেই স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্ন নিয়ে তিনি কাজ করে গেছেন। ২৫ মার্চের গণহত্যার কথা স্মরণ করে তিনি বলেন যে, পাকিস্থানী হানাদাররা অতর্কিতে বাংঙালীদের হত্যা করা শুরু করলে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা প্রদান করেন। তিনি আরো উল্লেখ করেন যে, বঙ্গবন্ধু তাঁর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণেই পরোক্ষভাবে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে বাঙ্গালী জাতিকে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকার দিক নির্দেশনা প্রদান করেন।

রাষ্ট্রদূত জুলফিকার তাঁর বক্তব্যে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে যাওয়া প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করে বিদ্যমান করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সকলকে একযোগে কাজ করে যাওয়ার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, করোনা পরিস্থিতি অর্থনৈতিকভাবে পুরো পৃথিবীকেই এক বিশাল চ্যালেঞ্জের মধ্যে ফেলে দিবে। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে বাংলাদেশের ক্রম:অগ্রসরমান অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে সকলকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে আরো বেশী নিবেদিত হয়ে আগামী দিন গুলোতে কাজ করে যাওয়ার আহবান জানান


   আরও সংবাদ