ঢাকা, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ ভাদ্র ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

করোনা : ৫০ লাখ রুপি দিলেন শচীন টেন্ডুলকার 


প্রকাশ: ২৬ মার্চ, ২০২০ ১৪:০০ অপরাহ্ন


করোনা : ৫০ লাখ রুপি দিলেন শচীন টেন্ডুলকার 

   

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পুরো বিশ্বকেই করোনা ভাইরাস তার ভয়াবহ রূপ দেখাতে শুরু করেছে। করোনার এই ভয়াবহ ছোবল থেকে রক্ষা পায়নি ভারতও। প্রতিদিনই বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও। 

করোনার সংক্রমণ রোধে পুরো ভারতই ২১ দিনের জন্য লকডাউন করা হয়েছে। দেশের এই কঠিন সময়ে অনেকেই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন। এই তালিকায় যোগ হলেন ভারতীয় ক্রিকেট কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকারও।

শুক্রবার (২৭ মার্চ) করোনার প্রাদুর্ভাব ঠেকানোর লড়াইয়ে সামিল হয়ে ৫০ লাখ রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৫৬ লাখ ১৯ হাজার টাকা) দান করেছেন শচীন। 

ভারতের প্রথমসারির ক্রীড়া তারকাদের মধ্যে তার দান এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম 'ইন্ডিয়া টুডে'। এর আগে অনেক ক্রীড়া তারকা নিজেদের বেতনের সমপরিমাণ অর্থ দান করেছেন, আবার অনেকেই মেডিকেল সরঞ্জাম কিনে দিয়েছেন।

ভারতীয় বার্তা সংস্থা 'পিটিআই'কে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সংশ্লিষ্ট এক ব্যক্তি জানিয়েছেন, 'করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য প্রধানমন্ত্রীর রিলিফ ফান্ড এবং মুখ্যমন্ত্রীদের গঠিত রিলিফ ফান্ডে ২৫ লাখ রুপি করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শচীন টেন্ডুলকার। উভয় ফান্ডে দান করার সিদ্ধান্ত টেন্ডুলকার নিজেই নিয়েছেন।'

ক্রিকেট ছাড়ার পর বিভিন্ন চ্যারিটির সঙ্গে নিজেকে যুক্ত করেছেন শচীন। এর আগেও এসব সংস্থার মাধ্যমে জনসচেতনতামূলক কাজ করেছেন তিনি। অনেক মানুষকে আর্থিক সাহায্য করেছেন। তবে সেসব প্রকাশ্যে আনার কোনো চেষ্টা তিনি করেননি। 

এদিকে ভারতের অন্যান্য ক্রীড়া তারকাদের মধ্যে দুই ভাই ইরফান পাঠান ও ইউসুফ পাঠান মিলে বারোদা পুলিশ ও স্বাস্থ্য বিভাগকে ৪ হাজার মাস্ক দিয়েছেন। বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি পুনেভিত্তিক একটি এনজিও'কে ১ লাখ রুপি দিয়েছেন। এছাড়া পশ্চিমবঙ্গে করোনার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের সহায়তায় ৫০ লাখ রুপির চাল দান করেছেন ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের (বিসিসিআই) প্রেসিডেন্ট ও সাবেক অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলী।

সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, করোনা ভাইরাসে পুরো ভারতের মোট ৭৩৩ জন আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন ২০ জন। আর সারা বিশ্বে আক্রান্তের সংখ্যা ৫ লাখ ৩২ হাজার ২৬২ এবং মৃতের সংখ্যা ২৪ হাজার ৯০।


   আরও সংবাদ