ঢাকা, শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৫, ১৫ ফাল্গুন ১৪৩২, ৯ জ্বমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

৩৫ হাজার ইভিএমের মধ্যে ব্যবহার করা হবে ১৪ হাজার


প্রকাশ: ১২ জানুয়ারী, ২০২০ ০০:০০ পূর্বাহ্ন


৩৫ হাজার ইভিএমের মধ্যে ব্যবহার করা হবে ১৪ হাজার

স্টাফ রিপোর্টার : মাস্টারপ্ল্যানের নির্বাচনের বিরুদ্ধে জনগণ সমুচিত জবাব দিবে মন্তব্য করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রহুল কবির রিজভী একটি পরিসংখ্যান দিয়ে বলেন, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ভোট কেন্দ্র আড়াই হাজারের মতো। ভোটকক্ষ প্রায় ১৪ হাজার। প্রতিটি কক্ষে তারা একটি করে ইভিএম ব্যবহার করতে চায়। সেই হিসাবে ১৪ হাজার ইভিএমের প্রয়োজন পড়ে।

রোববার (১২ জানুয়ারি) নয়াপল্টনে সংবাদ সম্মেলনে রিজভী নির্বাচন কমিশনের জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের (এনআইডি) মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ সাইদুল ইসলামের একটি তথ্য তুলে ধরেন।

তিনি বলেছেন, নির্বাচনে ৩৫ হাজার ইভিএম ব্যবহার করা হবে। অতিরিক্ত ২১ হাজার ইভিএম কোথায় ব্যবহার করা হবে? ইসির বক্তব্য অনুযায়ী ব্যাকআপ হিসাবে ৫০ শতাংশ মেশিন যদি রাখাও হয় তাহলে প্রতি কক্ষের জন্য অতিরিক্তসহ মোট ২১ হাজার ইভিএম লাগার কথা। কিন্তু দেখা যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন আরো ১৪ হাজার ইভিএম অতিরিক্ত প্রস্তুত করে রাখছে।

ইভিএমের মাধ্যমে নির্বাচনের পথ থেকে সরে আসার আহবান জানিয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ইসিকে পদত্যাগ করতে বললেন। বিএনপির এ নেতা বলেন, আওয়ামী লীগের নির্লজ্জ মোসাহেব প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ কমিশনের ইভিএম ব্যবহারের মূল লক্ষ্য অর্থ লুটপাট এবং মিডনাইট সরকারের প্রার্থীদের ডিজিটাল ভোট ডাকাতির মাধ্যমে জনপ্রতিনিধি বানিয়ে দেওয়া। 

আমরা নিশ্চিত হয়েছি যে, এই তাবেদার নির্বাচন কমিশন ইভিএমের মাধ্যমে এবার ডিজিটাল ভোট ডাকাতির আয়োজন করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে।  

রিজভী বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনের আজ্ঞাবহ জীবনাদর্শের জন্য গণতন্ত্র আজ কবরে। শুধু রাজনৈতিক দল নয়, ইসির টেকনিক্যাল কমিটি, নির্বাচন পর্যবেক্ষণকারী সংগঠনসমুহ, দেশের সচেতন মহল ও একজন নির্বাচন কমিশনারের বর্তমান ইভিএম ব্যবহারে বিরোধীতা থাকলেও সরকারের আজ্ঞাবহ কমিশন তা আমলে নেয়নি।


   আরও সংবাদ