প্রকাশ: ১ ফেব্রুয়ারী, ২০২১ ১২:৫৬ অপরাহ্ন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মিয়ানমার সেনাবাহিনী দেশটির ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসি (এনএলডি) নেত্রী অং সান সু চি ও সরকারের উচপদস্থ কয়েকজন কর্মকর্তাকে আটক করেছে। এবং সকালে দেশটিতে আগামী এক বছরের জন্য সামরিক শাসন জারি করেছে।
আজ সোমবার (০১ ফেব্রয়ারি) ভোররাতে সু চি’র পাশাপাশি মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট উইন মিন্টসহ সরকারি দলের আরো কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় নেতাকে ধরে নিয়ে যায় সেনাবাহিনী। আটকের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে সেনাবাহিনীর টিভি চ্যানেল সারাদেশে এক বছরের জন্য জরুরি অবস্থা ঘোষণার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
মিয়ানমারের সেনাবাহিনী বলেছে, তারা দেশের ক্ষমতা সেনাবাহিনীর কমান্ডার-ইন-চিফ মিন অং লাইং-এর কাছে হস্তান্তর করছে। রাজধানী নাই পি তাউ ও প্রধান শহর ইয়াঙ্গুনের রাজপথে সেনাবাহিনী টহল দিচ্ছে। কোনো কোনো সূত্র দেশটির রেডিও, টেলিভিশন ও ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ করে রাখা হয়েছে বলেও খবর দিয়েছে।
স্টেট কাউন্সিলরের পদে থাকা সু চি মূলত মিয়ানমারের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করতেন এবং এতদিন দেশটির সর্বোচ্চ নেতার পদে অধিষ্টিত ছিলেন। তার নেতৃত্বাধীন বেসামরিক সরকারের সঙ্গে সামরিক বাহিনীর সম্পর্কে টানাপড়েনের জের ধরে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গত নভেম্বরে মিয়ানমারে অনুষ্ঠিত পার্লামেন্ট নির্বাচনে সরকার গঠনের মতো পর্যাপ্ত আসন পায় এনএলডি। কিন্তু সেনাবাহিনী নির্বাচনে কারচুপি হয়েছে বলে অভিযোগ তোলে। আজ নবনির্বাচিত পার্লামেন্টের প্রথম অধিবেশন শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সেনাবাহিনী পার্লামেন্টের কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করেছে।
এনএলডির মুখপাত্র মিয়ো নিউন্ট টেলিফোনে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, দলের নেত্রী সুচি, প্রেসিডেন্ট উইট মিন্ট এবং অন্য নেতাদের সোমবার ভোররাতে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তিনি মিয়ানমারের জনগণকে এ ব্যাপারে তড়িঘড়ি প্রতিক্রিয়া না দেখিয়ে আইন মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন।
২০১১ সাল পর্যন্ত মিয়ানমারে সামরিক শাসক ক্ষমতায় ছিল এবং তখন পর্যন্ত বহু বছর সু চি গৃহবন্দি ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত এক সপ্তাহ ধরে সামরিক অভ্যুত্থানের গুণজন শোনা যায়। যা আজ হঠাৎ করে সেনাবাহিনী দেশটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেন।