প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ০১:০৮ পূর্বাহ্ন
আন্তজার্তিক ডেস্ক: হামাস নেতাদের হত্যার উদ্দেশ্যে কাতারে পরিচালিত ইসরায়েলি বিমান হামলায় নাখোশ হয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) ওয়াশিংটনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
তিনি বলেছেন, হামলা সংশ্লিষ্ট প্রতিটি বিষয়েই আমি প্রচণ্ড অখুশি। পরিস্থিতি খুব একটা অনুকূলে নেই। তবে আজ ঘটনা যেভাবে মোড় নিল, সেটা নিয়ে আমরা খুশি না হলেও স্পষ্ট বলছি, আমরা জিম্মিদের ফেরত চাই।
এ বিষয়ে তিনি বুধবার পূর্ণাঙ্গ বিবৃতি দেবেন বলেও উল্লেখ করেন।
ইসরায়েল এ হামলাকে ন্যায্য দাবি করলেও কাতার একে 'রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসবাদ' উল্লেখ করে বলেছে, এতে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে দোহায় চলমান শান্তি আলোচনাকে ব্যাহত হওয়ার ঝুঁকি তৈরি করেছে। কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুলরহমান আল-থানি বলেছেন, দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর একজন সদস্য নিহত এবং কয়েকজন আহত হয়েছেন। তিনি সতর্ক করে বলেন, কাতার এ হামলার জবাব দেবে।
ওই বিমান হামলায় গাজার নির্বাসিত নেতা ও শীর্ষ আলোচক খলিল আল-হাইয়ার ছেলেসহ পাঁচজন সদস্য নিহতের তথ্য জানিয়েছে হামাস। তবে ইসরায়েল তাদের প্রতিনিধি দলের ওপর হামলা চালালেও শীর্ষস্থানীয় সদস্যরা বেঁচে গেছেন।
এর আগে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ট্রাম্প বলেছিলেন, মার্কিন সেনাবাহিনীর কাছ থেকে হামলার বিষয়ে সতর্কবার্তা পেয়েছিল ট্রাম্প প্রশাসন। তবে এতে ওয়াশিংটনের অনুমোদন ছিল না।
তিনি বলেন, কাতারে ভেতরে একতরফা বোমা হামলায় মার্কিন বা ইসরায়েলি স্বার্থ পূরণ হচ্ছে না। তবে হামাসকে নির্মূল করা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য। ট্রাম্প পরে কাতারের আমিরকে ফোন করে আশ্বস্ত করেন, এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবে না।
ইসরায়েলি হামলার এক দিন আগে জেরুজালেমের শহরতলিতে একটি বাসস্টপে গুলি চালিয়ে ছয়জনকে হত্যার দায় স্বীকার করেছিল হামাসের সামরিক শাখা কাসসাম ব্রিগেড। এরপরই ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, সন্ত্রাসী নেতাদের আর কোনও নিরাপত্তা থাকবে না।
ঘটনাটি পোপ লিওর তরফ থেকেও তীব্র উদ্বেগ জানানো হয়। কাতারে বিমান হামলায় আন্তর্জাতিক আইন ভঙ্গ হয়েছে উল্লেখ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন জানিয়েছে। আর এই ঘটনাকে 'ভয়ংকর ও কাপুরুষোচিত' বলে নিন্দা জানিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত।
এদিকে, গাজায় থেমে নেই ইসরায়েলি অভিযান। গাজা সিটিতে নতুন হামলার প্রস্তুতি হিসেবে লিফলেট ছড়িয়ে বেসামরিকদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দিচ্ছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। হাজার হাজার ফিলিস্তিনি প্রায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া শহর ছেড়ে পালাচ্ছেন। স্থানীয় কর্তৃপক্ষের হিসাব অনুযায়ী, ২০২৩ সালের অক্টোবরে হামাসের হামলার জবাবে শুরু হওয়া অভিযানে এখন পর্যন্ত গাজায় ৬৪ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন।