প্রকাশ: ১০ এপ্রিল, ২০২০ ০০:০০ পূর্বাহ্ন
বোরহানউদ্দিন (ভোলা) প্রতিনিধি : ভোলার লালমোহনে করোনা সংক্রমণ এড়াতে সচেতন করতে গিয়ে পুলিশের লাঠির আঘাতে শাহে আলম (আলী হুজুর) নামে এক মাদরাসা শিক্ষকের পা ভেঙ্গে তিন খন্ড হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার (০৯ এপ্রিল) সন্ধ্যার পর লালমোহন থানার ফরাজগঞ্জ ইউনিয়নের মহেশখালী গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় ও আহতের পরিবার সূত্র জানায়, গতকাল সন্ধ্যায় আহত শাহে আলম মাগরিবের নামাজ শেষে তার বাসার সামনে অবস্থান করছেন। এমন সময় দেখেন কিছু ছেলে বিভিন্ন দিকে ছোটাছুটি করছে। এমন দৃশ্য দেখতে না দেখতে হঠাৎ করে তার বাসার সামনে লালমোহন থানার কয়েকজন পুলিশ সদস্য দেখতে পান। তাদের মধ্যে একজন পুলিশ সদস্য কোন কথা না জিজ্ঞেস করেই শাহে আলমের পায়ে আঘাত করে। এতে ঘটনাস্থলে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পুলিশ তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল থেকে চলে যায়।
এ ঘটনার পর পরিবার ও স্থানীয়দের সহায়তায় শাহে আলমকে উদ্ধার করে লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে আসেন। পরে জরুরি বিভাগে থাকা চিকিৎসক আহতকে এক্সরে পরীক্ষা করালে রিপোর্টে দেখা যায় শাহে আলমের পায়ের মাধ্যখানের হাড় ভেঙ্গে তিনটি টুকরো হয়েছে।
এ বিষয়ে লালমোহন হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, শাহে আলমের পায়ের হাড় খুব বেশিই ভেঙে গিয়েছে। আমরা সাময়িক যে চিকিৎসা দেওয়ার তা দিয়েছি। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতালে নেয়া প্রয়োজন।
আহতের ভাতিজা হাসনাইন আল মুসা জানান, আমার চাচাকে লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ভোলা সদরে নেওয়া হয়েছে। সারাদেশে লকডাউন থাকায় লঞ্চ ও গাড়ি চলাচল বন্ধ। তাই এখন প্রশাসন যদি সহায়তা না করেন তাহলে তাকে রাজধানীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য নেওয়া যাচ্ছে না।