ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫, ৫ চৈত্র ১৪৩২, ২৯ জ্বমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

৬৭৮ কোটি টাকা পাচারের ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের মালিকের বিরুদ্ধে সিআইডির মামলা


প্রকাশ: ১৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০৪ অপরাহ্ন


৬৭৮ কোটি টাকা পাচারের ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের মালিকের বিরুদ্ধে সিআইডির মামলা

নিজস্ব  প্রতিবেদক: চোরাচালানের মাধ্যমে স্বর্ণ ও হীরা সংগ্রহ করে অবৈধ পন্থায় অর্জিত ৬৭৮ কোটি টাকা মানিলন্ডারিংয়ের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের মালিক দিলীপ কুমার আগরওয়ালার বিরুদ্ধে মামলা করেছে সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট।

সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (গণমাধ্যম) জসীম উদ্দিন খান স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর সিআইডি ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড লিমিটেডের আর্থিক লেনদেন, নথিপত্র ও ব্যাংক হিসাব পর্যালোচনা ও অনুসন্ধান শুরু করে। অনুসন্ধানে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানটি স্থানীয় বাজার থেকে চোরাচালানের মাধ্যমে স্বর্ণ ও হীরা সংগ্রহ করে অবৈধ পন্থায় অর্থ উপার্জন করেছে। প্রাথমিক তথ্য–প্রমাণে চোরাচালান ও উৎসহীন অর্থ উপার্জনের সত্যতা মেলায় গতকাল সোমবার দিলীপ কুমার আগরওয়ালার বিরুদ্ধে গুলশান থানায় ৬৭৮ আটাত্তর কোটি ১৯ লক্ষ ১৪ হাজার ১৪ টাকার মানিলন্ডারিং মামলা করে সিআইডি। 

অনুসন্ধানে জানা যায়, দিলীপ কুমার আগরওয়ালা ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড ও ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড লিমিটেডের স্বত্বাধিকারী হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে দেশে-বিদেশে স্বর্ণ ও হীরা ব্যবসা পরিচালনার আড়ালে অর্থ পাচার ও চোরাকারবারি করে আসছিলেন। 

অনুসন্ধানে আরও দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানটি ৬ সেপ্টেম্বর ২০০৬ থেকে ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ পর্যন্ত এলসির মাধ্যমে বিদেশ থেকে মোট ৩৮ কোটি ৪৭ লক্ষ ৪৮ হাজার ১১ টাকার স্বর্ণবার, অলংকার, লুজ ডায়মন্ড ও অন্যান্য দ্রব্য বৈধভাবে আমদানি করে। একই সময়ে স্থানীয় বাজার থেকে ক্রয়/বিনিময়/পরিবর্তন পদ্ধতিতে মোট ৬৭৮ আটাত্তর কোটি ১৯ লক্ষ ১৪ হাজার টাকার স্বর্ণ ও হীরা সংগ্রহ করে। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটি সিআইডিকে এর উৎস বা সরবরাহকারী সংক্রান্ত বৈধ কাগজপত্র প্রদর্শন করতে ব্যর্থ হয়। বৈধ নথি না থাকায় এসব বিপুল পরিমাণ স্বর্ণ ও হীরা অবৈধ চোরাচালানের মাধ্যমে দেশে আনা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হয়। 

চোরাচালানের মাধ্যমে অর্জিত সম্পদ ও অপরাধলব্ধ অর্থ রূপান্তর, হস্তান্তর বা ব্যবহার সংক্রান্ত তথ্য ও নথিপত্র পর্যবেক্ষণে মানিলন্ডারিংয়ের প্রাথমিক সত্যতা প্রতীয়মান হলে অনুসন্ধান প্রতিবেদন অতিরিক্ত আইজিপি, সিআইডি বরাবর দাখিল করা হয়। পরবর্তীতে গত ১৬ নভেম্বর সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট মামলা দায়েরের অনুমোদন পায়। 

ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড ও ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড লিমিটেডের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় দায়েরকৃত মানিলন্ডারিং মামলা সিআইডির তফসিলভুক্ত হওয়ায় এর তদন্ত সিআইডিই পরিচালনা করবে। প্রয়োজনীয় নথি, ব্যাংক লেনদেন এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের তথ্য যাচাই করে আইনানুযায়ী নিবিড় তদন্তের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে সিআইডি । 


   আরও সংবাদ