ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ ভাদ্র ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

গাজীপুরে নারীর শ্লীতাহানির দায়ে মামলা আটক এক


প্রকাশ: ২৬ জানুয়ারী, ২০২০ ১৩:০০ অপরাহ্ন


গাজীপুরে নারীর শ্লীতাহানির দায়ে মামলা আটক এক

   

গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি : সিনেমা স্টাইলে অসহায় এক নারীর জমি দখল করার চেষ্টা ও শ্লীতাহানির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় গাজীপুর মেট্রোপলিটন (জিএমপি) কোনাবাড়ি থানায় মারপিট ও শ্লীতাহানির অভিযোগে সাতজনকে আসামি করে মামলা হয়েছে।

গত-২২ জানুয়ারি বুধবার সকালে গাজীপুর সিটি কপোর্রেশনের কোনাবাড়ি থানাধীন আমবাগ উত্তরপাড়া সুজনের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ৭ বছরের শিশু কন্যা নুরে জান্নাত রোজকেও রেহাই দেয়নি ওই ভূমিদস্যু সন্ত্রাসীরা।

এজাহার সূত্রে জানায়, বগুড়ার কাহালু থানার আরলা গ্রামের সৌদি-আরব প্রবাসী হাবিবুর রহমানের স্ত্রী সানজিদা আরেফীন (৪৫) এক কন্যা সন্তান নিয়ে গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ি আমাবাগ উত্তরপাড়া এলাকায় সুজন মিয়ার বাড়িতে ভাড়া-বাসা নিয়ে বসবাস করেন। মাথা গোঁজাবার ঠাঁই হিসেবে বাড়ি করার জন্যে বাড়ির মালিক সুজনের কাছ থেকে বাঘিয়া মৌজার একই স্থানে ২-শতাংশ জমি ক্রয় করেন প্রবাসীর স্ত্রী।

জানা গেছে, সুজন জমি বিক্রি করে টাকা বুঝে পেয়ে জমি রেজিস্ট্রেশনসহ দখল বুঝে দেন। অথচ জমিতে বাড়ি নিমার্ণ করতে গেলে ভূমিদস্যু সুজন ও স্থানীয় বিএনপি নেতা সেলিম রেজা মিলে আরেফীনকে মারপিটসহ নানা অত্যাচার, হুমকি-ধামকি ও প্রাণনাশের  দেয়া হয়। স্বামী প্রবাসে থাকায় একা পেয়ে সরলতার সুযোগে গত ২২ জানুয়ারি সকাল ৭টার দিকে বাসার সামনে সানজিদা বের হলে আমবাগ উত্তরপাড়ার সামাদ আলীর দুই ছেলে সুজন মিয়া (২৫) ও আঃ মালেক (৩০), মেয়ে সাবিনা (২৮), সুজনের স্ত্রী রুবেনা (২৩) খোলাপাড়া এলাকার মৃত মাজম আলীর ছেলে বিএনপি নেতা সেলিম রেজা লাব্বু, (৩০), কফিল (৪৪) পিতা অজ্ঞাত ও আজাদ (৩২) মিলে বে-আইনী জনতাবদ্ধ ভাবে কাঁঠের বাটাম ও হাতুড়ী দিয়ে ওই সম্পত্তিকে কেন্দ্র করে কোনো প্রকার বাকবিতন্ড ছাড়াই এলোপাথারীভাবে মারপিট ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে।

মারপিটের আঘাতে বাম চোখের নীচে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে নিলা-ফোলা জখম হয়। সানজিদা জানান, তার ডাক চিৎকারে ৭ বছরের শিশু-কন্যা নুরে জান্নাত রোজ ও ভাবি রিনা বেগম (২৬) এগিয়ে আসলে তাদেরকেও মারপিট করা হয়।

এক প্রকার পরনে কাপড়-চোপড় টেনে হেঁচড়ে শ্লীতাহানি করেন সুজন ও সেলিম মিলে। এ ঘটনার আগের দিন সুজনরা তার বাড়িতে ভুক্তভোগিদের তালা মেরে আটক করে রাখে। খবর পেয়ে কোনাবাড়ি থানা পুলিশ গিয়ে তালা ভেঙে তাদেরকে উদ্ধার করেন। 

এব্যাপারে কোনাবাড়ি থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মঞ্জুরুল ইসলাম এর সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আসামি একজনকে আটক করে চালান করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।


   আরও সংবাদ