প্রকাশ: ১০ নভেম্বর, ২০২৫ ০৯:৩৮ পূর্বাহ্ন
জাপান টোকিও প্রতিনিধি: জাপান ও বাংলাদেশের মানবসম্পদ পরিস্থিতির পরিসংখ্যানগত তুলনা উপস্থাপন করেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. নেয়ামত উল্যা ভূঁইয়া। তিনি বলেন, ২০৪০ সালের মধ্যে জাপানের প্রায় ১ কোটি ১০ লাখ বিদেশি কর্মীর প্রয়োজন হবে। অন্যদিকে বাংলাদেশে বর্তমানে অতিরিক্ত ২ কোটি ৫০ লাখ কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী রয়েছে— এ প্রবণতা ২০৪০ সাল পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।
গত শুক্রবার জাপানের নাগোয়া শহরের এক মিলনায়তনে ‘বাংলাদেশ জাপানের জন্য দক্ষ মানবসম্পদ সমৃদ্ধ একটি অত্যন্ত সম্ভাবনাময় উৎস' শীর্ষক সেমিনার এবং পরবর্তীতে একটি ম্যাচিং ইভেন্টের আয়োজন করে জাপানের বাংলাদেশ দূতাবাস। সেমিনারে বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
জাপান আন্তর্জাতিক প্রশিক্ষণার্থী ও দক্ষ কর্মী সহযোগিতা সংস্থার (জেআইটিসিও) সহযোগিতায় আয়োজিত সেমিনারে সিনিয়র সচিব ড. নেয়ামত উল্যা ভূঁইয়া প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
প্রায় ২৫০টি জনশক্তি রপ্তানীকারক প্রতিষ্ঠান এবং নিয়োগকারী সংস্থা সেমিনারে অংশগ্রহণ করেন। জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত দাউদ আলী স্বাগত বক্তব্যে জাপানে দক্ষ জনশক্তি প্রেরণে দূতাবাস থেকে সব ধরণের সহায়তার আশ্বাস দেন।
সিনিয়র সচিব ড. নেয়ামত উল্যা ভূঁইয়া বলেন, ২০৪০ সালের মধ্যে জাপানের ১ কোটি ১০ লাখ জনশক্তির ঘাটতি পূরণে সম্ভব সব ধরণের পদক্ষেপ নেয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
সিনিয়র সচিব আরও বলেন, জাপানের শ্রমবাজারের চাহিদা অনুযায়ী কর্মী প্রস্তুতের জন্য বাংলাদেশে ৩৩টি টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার (টিটিসি) নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রয়োজনে এ সংখ্যা আরও বৃদ্ধি করা হবে। তিনি প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে একটি “জাপান সেল”গঠনের কথাও জানান, যা জাপানি শ্রমবাজারের জন্য সমন্বয় ও যোগাযোগের কেন্দ্র হিসেবে কাজ করবে।
বাংলাদেশের ও জাপানের নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সমন্বিত প্রচেষ্টায় উভয় দেশই উপকৃত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন সিনিয়র সচিব ড. নেয়ামত উল্যা ভূঁইয়া।
এসময় জেআইটিসিও-র সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট শিগেও মাতসুতোমি আন্তর্জাতিক শ্রমবাজার পরিস্থিতি এবং জাপানের শ্রমবাজারের সম্ভাবনা সম্পর্কে একটি পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন। পরে বাংলাদেশি জনশক্তি প্রেরণকারী এবং জাপানি নিয়োগকারী সংস্থাগুলির মধ্যে ৪টি সমঝোতা স্মারক ও চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।