প্রকাশ: ২১ মে, ২০২১ ০৯:৫৯ পূর্বাহ্ন
 
            
মোঃ বরাতুজ্জামান স্পন্দন, গবি প্রতিনিধি: অজ্ঞাত পরিচয়ে প্রসূতি রোগী নিয়ে সাভারের একটি হাসপাতালে আসেন এক জনৈকা। প্রসূতি নারীর স্বামী চলে গেছে অনেক আগেই। স্বজনহীন গর্ভবতীর কাছে-পিঠে তেমন কেউ নেই। দায়বদ্ধতা থেকে প্রসূতিকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। এমন গল্প শুনিয়ে কিছুক্ষণ পর উধাও হয়ে যান তিনিও৷
মঙ্গলবার (১৮ মে) সন্ধ্যায় সাভারের গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে৷
হাসপাতালের সংশ্লিষ্টরা জানান, রোগীর অবস্থা দ্রুতই খারাপ হতে থাকে। রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা ছিল কম৷ রোগীর অভিভাবকের অনুমতি ছাড়া অপারেশন করাও দুরূহ। কারণ এখানে দুইটি জীবনের ঝুঁকি রয়েছে। এমতাবস্থায় সরকারি হাসপাতালে রোগী পাঠালে সেখানেও না রাখার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। তাকে এম্বুলেন্সে পাঠাতে হবে, এরও খরচ আছে৷ রোগীর কাছেও কোনো টাকা পয়সা ছিল না।
এসময় মানবিক দিক চিন্তা করে এগিয়ে আসেন গণস্বাস্থ্যের এক প্রশাসনিক কর্মকর্তা আবু তাহের। দাপ্তরিক নথিতে স্বাক্ষর করে প্রসূতির অভিভাবকের দায়িত্ব নেন তিনি। এরপর রোগীকে সাভারের গণস্বাস্থ্য হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
আবু তাহের বলেন, রোগীর অবস্থা গুরুতর ছিল। দুজনের জীবনই ছিল আশঙ্কাজনক। একারণেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
অবশেষে নাম পরিচয়হীন এই নারী ছেলে সন্তানের মুখ দেখেন। চিকিৎসকেরা জানান, এখন মা-শিশু দুজনেই সুস্থ আছেন৷ শিশুটির ওজন তুলনামূলক কম৷
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি থানায় অবগত করেছেন৷ পুলিশ অজ্ঞাত নারীর অভিভাবকের খোঁজ করছেন। তারা বর্তমানে সাভারের গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছে।
উল্লেখ্য, ঘটনার ৩ দিনেও রোগীর স্বজনেরা কেউ খবর নেননি। অসহায় এই মা ও শিশুর সহায়তার জন্য সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র।
যোগাযোগ: 01624686994