প্রকাশ: ২৪ মে, ২০২১ ০৮:২৫ পূর্বাহ্ন
 
            
জবি প্রতিনিধিঃ
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) বিভিন্ন দপ্তরের পরিচালকসহ গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক পদসমূহে নিয়োগ প্রদানে পক্ষপাতমূলক আচরণ দাবি করে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের নিকট এর অবসান চেয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টির বঙ্গবন্ধুর আদর্শের আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন নীলদল(একাংশ)।
সোমবার (২৪মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কক্ষে দায়িত্বপ্রাপ্ত উপাচার্য ড. কামালউদ্দিন আহমদের নিকট লিখিত এক বিবৃতির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক পদসমূহে একই ব্যক্তিকে একাধিকবার না দেয়া, যোগ্যতার ভিত্তিতে প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণ ও সাম্প্রতিককালে বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক অনিয়ম, নিয়োগ ও পদোন্নতির অনিয়মের বিষয়ে নিরপেক্ষ তথ্যানুসন্ধানে কমিটি গঠনসহ ৬ দফা দাবি জানান প্রগতিশীল শিক্ষকদের এ সংগঠনটির নেতৃবৃন্দরা।
দাবি জানানোর সময় নীলদলের (একাংশ) সভাপতি ড. কাজী সাইফুদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক ড. সিদ্ধার্ধ ভৌমিকসহ সংগঠনটির অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
অন্যান্য দাবিগুলোর মধ্যে করোনাকালীন সংকট উত্তরণে অনলাইন বা বিকল্প ব্যবস্থায় পরীক্ষা নেওয়া এবং ক্লাস শুরুর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ, সান্ধ্যকালীন কোর্সসমূহের অনিয়মতান্ত্রিক স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারপূর্বক স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয় এমন লেখালেখি করা থেকে সহকর্মী শিক্ষকদের বিরত থাকার জন্য অনুরোধ জানানো হয়।
এসময় পরিক্ষা নেওয়া ও ইভিনিং প্রোগ্রাম চালু করার বিষয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, করোনার ভয়াবহতার কারণে অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইন ক্লাস হলেও সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষাসমূহ বন্ধ রয়েছে যা শিক্ষার স্বাভাবিক গতি ব্যাহত করার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের একাডেমিক জীবনকে বাধাগ্রস্ত করছে এবং একটি অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। এছাড়াও শিক্ষার গুণগত মান অক্ষুন্ন রেখেই বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক বিভাগ ইভিনিং প্রোগ্রাম পরিচালনা করে আসছিল। ইন্ডিনিং প্রোগ্রাম পরিচালনাকারী বিভাগসমূহ সংশ্লিষ্ট অনুষদ ও সিন্ডিকেটের অনুমতি ও অনুমোদন সাপেক্ষে বিভাগ কর্তৃক আরোপিত নির্দিষ্ট শর্ত ক্রাইটেরিয়া অর্জনকারী যোগ্য আবেদনকারীদের মধ্যে প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষার মাধ্যমে বাছাই পূর্বক ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করত। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের একটি চিঠির প্রেক্ষিতে প্রাক্তন মাননীয় উপাচার্য বিষয়টি অনুষদ কিংবা সিন্ডিকেটসহ কোন ফোরামে আলোচনা না করেই ইভিনিং প্রোগ্রাম স্থগিত করে দেন।
উল্লেখ্য যে মঞ্জুরি কমিশনের চিঠির প্রেক্ষিতে কোন কোন বিশ্ববিদ্যালয় তাদের ইভিনিং প্রোগ্রাম সাময়িক সময়ের জন্য স্থগিত করলেও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়সহ আরও অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে ইভিনিং প্রোগ্রাম চালু চলমান রয়েছে।
এবিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামালউদ্দিন আহমদের কাছে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।