ঢাকা, শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৫, ১৫ ফাল্গুন ১৪৩২, ৯ জ্বমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

করোনাকালেও শিক্ষকবান্ধব গবি, প্রমোশনের পাশাপশি নিয়োগ


প্রকাশ: ৩ জুন, ২০২১ ১১:৩৭ পূর্বাহ্ন


করোনাকালেও শিক্ষকবান্ধব গবি, প্রমোশনের পাশাপশি নিয়োগ

মোঃ বরাতুজ্জামান স্পন্দন, গবি প্রতিনিধি:

গণ বিশ্ববিদ্যালয় (গবি), A University with a Difference. সাভারের এই বিশ্ববিদ্যালয়টি অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের থেকে নানান দিকে দিয়েই আলাদা। যেমন, করোনার এই সংকটময় সময়ে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় যেখানে শিক্ষক ছাটাই করেছে সেখানে গবি প্রশাসন কোনো ছাঁটাই তো করেই নি, বরং শিক্ষক কর্মকর্তা কর্মচারীদের পূর্ণ বেতন দিয়েছে। সেই সাথে ৬০ জন পূর্ণকালীন নতুন শিক্ষকও নিয়োগ দিয়েছে তারা। 

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, শিক্ষক-কর্মকর্তা সহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। তারা জানান, গবি প্রশাসন এই মহামারীতে পূর্বের মতই শিক্ষক, কর্মকর্তাদের সম্পূর্ণ বেতন পরিশোধ করেছে। এ সময়ে করোনার কারণে প্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষক বা কর্মকর্তাকে ছাটাইয়ের অভিযোগ পাওয়া যায়নি।

প্রশাসনের করোনাকালীন সময়ের ভূমিকায় সন্তুষ্ট শিক্ষকেরা। বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের ডীন মো. করম নেওয়াজ বলেন, এই কার্যক্রম অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আমাদের ইতিবাচকভাবে আলাদা করেছে। শিক্ষার্থীদের জন্য আমরা সর্বোচ্চটা দেয়ার চেষ্টা করেছি। আর প্রশাসন আমাদেরকে মূল্যায়ন করেছে। এক্ষেত্রে তারা অবশ্যই প্রশংসার দাবিদার। 

করোনার শুরুতে শিক্ষা কার্যক্রম গতিশীল রাখার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, যখন মাত্র চার-পাঁচটা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইন ক্লাস শুরু হয়েছে, তখনই আমরা প্রথমবারের মতো এই উদ্যোগ নিয়েছিলাম। শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দিয়ে অনলাইনের নানা প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে সফলভাবে সবকিছু এগিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছি। 

সার্বিক বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মীর মুর্ত্তজা আলী বলেন, আমরা বরাবরই শিক্ষার্থীবান্ধব এবং শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রতি দায়িত্বশীল। এই কঠিন সময়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাদের রিজার্ভ ফান্ড এবং ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে সকল পর্যায়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন প্রদান করেছেন। এমনকি প্রমোশনসহ বেতন বৃদ্ধিও হয়েছে। 

তিনি আরও জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন ও তদারকি কমিটির সভাপতি ডাঃ জাফরুল্লাহ চৌধুরী বরাবরই প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে সরাসরি তত্ত্বাবধান করে থাকেন। তাঁর এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ইতিবাচক মনোভাবই এক্ষেত্রে মূল ভূমিকা পালন করেছে।


   আরও সংবাদ