প্রকাশ: ২০ জানুয়ারী, ২০২২ ০৮:৩৬ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: নিহত ইরফান (৪৮)। এক মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে থাকত রাজধানীর ডেমরা সারুলিয়া বড় ভাঙা এলাকায় নিজেদের বাড়িতেই। তবে নবাবপুরে একটি ইলেকট্রিক দোকানে কাজ করতেন ওই ভুক্তভোগী। প্রতিদিনের মত গতকাল বৃহস্পতিবারও গ্রীনবাংলা বাস যোগে আসছিলেন কর্মস্থলে। কিন্তু ওয়ারীর জয় কালী মন্দির মোড়ে ভাড়া নিয়ে তর্কবিতর্কের একপর্যায়ে ওই ভুক্তভোগীকে বাস থেকে ফেলে দিয়ে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
নিহত ইরফানের সহকর্মী আব্দুল কাদের আজকের পত্রিকাকে বলেন, নবাবপুর ইরফানের কর্মস্থলে আসার পথে গ্রীনবাংলা বাসের সহকারী সঙ্গে ভাড়া নিয়ে তর্ক হয়। এর একপর্যায়ে বাসের সহকারী তাঁকে বাস থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিলে গুরুতর আহত হয়। পরে পথচারীরা উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইরফান মারা যায়।
মৃত্যুর খবর পেয়ে ঢামেকে ছুটে আসেন ইরফানের স্বজনেরা। এ সময় নিহত ইরফানের বড় ভাই রায়হান জানান, প্রতিদিনকার মত গতকালও নাবাবপুর নিজের কর্মস্থলে যাওয়ার পথে বাসের সহকারীর সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হলে তাকে বাস থেকে ফেলে দিলে তার মৃত্যু হয়। তিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে ইরফান ছিলেন তৃতীয়।
ওয়ারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন হাওলাদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, গ্রীন বাংলা বাসের চালক ও হেলপারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে। তবে বাসটা জব্দ করা হলেও বাসের সহকারী মোজাম্মেলকে এখনো গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।
তিনি বলেন, নিহত ইরফানের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে আছে। আজ ময়নাতদন্ত শেষ লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। জানতে পেরেছি গ্রীনবাংলা বাস থেকে জয় কালী মন্দির মোড়ে এলে ভাড়া নিয়ে তর্কের একপর্যায়ে বাসের সহকারী মোজাম্মেল তাঁকে ধাক্কা দিয়ে বাস থেকে ফেলে দেওয়ায় তার মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে।